বর্ষীয়ান তবলিয়া পণ্ডিত বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় প্রতি বছরের মতো হাওড়া জেলার বালি, নিশ্চিন্দায় সুপ্রতিষ্ঠিত ‘কলাশ্রী’র ৪১তম মনোজ্ঞ উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতানুষ্ঠান সুসম্পন্ন হল ২২ ডিসেম্বর দেশবন্ধু তরুণ সংঘ প্রাঙ্গণে। সূচনা হয় রমা মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে দু’খানি রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে। কবিতা পাঠ করে শোনান বেতারশিল্পী ঊষশী সরকার। স্বর্ণালী গাঙ্গুলি রাগপ্রধান এবং দু’খানি ভজন পরিবেশন করে শ্রোতাদের করতাল আদায় করে নেন।
তবলা সহযোগিতায় ছিলেন প্রবীর গাঙ্গুলি। বিশিষ্ট গুণীজন সম্বর্ধনা জ্ঞাপন অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রনাথ পাল (যুগ্ম সম্পাদক, উত্তরপাড়া সঙ্গীত চক্র), অনিরুদ্ধ রায় (যুগ্ম সভাপতি, উত্তরপাড়া সঙ্গীত চক্র), সব্যসাচী সরকার (উত্তরপাড়া সঙ্গীত চক্রের সঙ্গীত, নৃত্য একাডেমির সম্পাদক), ডা. মৌসুমী মণ্ডল, রেখা ঘোষ, শ্যামল পোড়েল, পলি পোড়েল, সৌরভ পোড়েল, গৌতম কোলে, ডালিয়া শঠ, অজিত বাগ, কল্যাণ দাস, রঞ্জন বসু, সন্দীপ রায়চৌধুরী, কস্তুরী সরকার, প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রবুব্ধ মুখোপাধ্যায়, এবং পার্থসারথি সরকার প্রমুখ। গুণীজনদের সম্বর্ধনা জানান পণ্ডিত বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়। একক তবলায় লহরা শোনান শিবনাথ মুখোপাধ্যায়।
ইমন রাগে সেতার বাজিয়ে শোনান ইন্দ্রাণী কাঁড়ার, তবলায় যোগ্য সহযোগিতা করেন পণ্ডিত সুমন কাঁড়ার। তাপস রানা, অমিতাভ ঘোষ, সৌম্যশ্রী কাঁড়ার প্রমুখের একক পরিবেশন ছিল অনবদ্য। তবলা সহযোগিতায় ছিলেন জয়দীপ চক্রবর্তী। একক ভারত নাট্যম নৃত্যে সৌম্যশ্রী কাঁড়ার সকলকে মোহিত করেন। বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় পরিকল্পিত তবলা তরঙ্গে প্রথমে রূপক তালে, পরে তিন তালে অংশ নেন পণ্ডিত সুমন কাঁড়ার, জয়দীপ চক্রবর্তী, তাপস রানা, সুকুমার দে, সৌরভ পোড়েল, সুমন দাস, পণ্ডিতজি স্বয়ং। হারমোনিয়ামে ছিলেন অমিতাভ ঘোষ। শেষ আকর্ষণ ছিল রূপক দে এবং স্বর্ণাভ মল্লিকের দ্বৈত সরোদবাদন।
রাগশ্রী রাগে প্রথমে আলাপ, বিস্তারত জোড়, তান, সরগম, গৎ ইত্যাদি পরিবেশিত হয়। তবলা সহযোগিতায় পণ্ডিত সুমন কাঁড়ার, রূপক দে ও স্বর্ণাভ মল্লিক। এই দুই ভাইয়ের যুগল বাদনে, পণ্ডিত সুমন কাঁড়ারের তবলায় অসাধারণ সঙ্গতে শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে যান। উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন সমাপ্তি মল্লিক। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সংযোজনায় ছিলেন ইন্দ্রাণী কাঁড়ার, তাপস রানা ও সুকুমার দে।