• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শনিবার সকাল থেকেই রোগী পরিষেবা জুনিয়র চিকিৎসকদের

শুক্রবার রাত থেকেই কাজে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার সকাল থেকে পুরোদমে আউটডোরেও কাজ শুরু করেছেন তাঁরা।

কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর শুক্রবার রাত থেকেই কাজে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার সকাল থেকে পুরোদমে আউটডোরেও কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। এদিন সকালে আরজি কর আউটডোর খুলে রোগীদের যথাযথ পরামর্শ দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও একই চিত্র ধরা পড়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক আরিফ আহমেদ লস্কর জানিয়েছেন, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর কর্মবিরতি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে ফিরেছেন। বহির্বিভাগের সেবা এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসা, জরুরি বিভাগসহ সমস্ত পরিষেবা আমরা পুনরায় শুরু করেছি। সাধারণ মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন এই পুরো সময় জুড়ে, এবং এখন আমরা বলতে চাই যে জুনিয়র ডাক্তাররাও তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সর্বত্র আবার চালু হয়েছে।’

কাজে ফেরা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, আন্দোলনের সময় যেমন সাধারণ মানুষ তাদের পাশে থেকেছেন, তেমনই তাঁরাও সাধারণ মানুষের পাশে থেকে পরিষেবা দেবেন। এমনকি আরজি করের প্রতিবাদ আন্দোলনে তাঁদের পাশে থাকার জন্য সিনিয়র ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, কর্মবিরতির সময় সিনিয়র চিকিৎসকরা সবসময় জুনিয়রদের পাশে ছিলেন, আন্দোলনে সমর্থন জুগিয়েছেন এবং অতিরিক্ত সময় কাজ করে রোগী পরিষেবা যতটা সম্ভব সচল রেখেছেন। নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে এখনও পাশে রয়েছেন তাঁরা। তবে কর্মবিরতির পরিবর্তে বিকল্প পদ্ধতিতে আন্দোলন এগিয়ে নেওয়ার উপদেশ সিনিয়রদের থেকে আসছিলো গত কয়েক দিন ধরে। সেই উপদেশকে সম্মান জানিয়ে, পূর্ণ কর্মবিরতির পথ থেকে সরে এসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।