আজই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন জুনিয়ার চিকিৎসক তনয়া

গতকাল নবান্নে জুনিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা ২ ঘণ্টা ধরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চলে ১৭ জন জুনিয়ার চিকিৎসকদের। তারপরই জুনিয়ার চিকিৎসকদের  দল ধর্মতলার অনশন মঞ্চে ফিরে এসে, টানা ১৭ দিন পর অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান। গতকাল আনুষ্ঠানিক ভাবে অনশন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন জুনিয়ার চিকিৎসকদের সংগঠনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার। পাশাপাশি, জুনিয়ার চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আজ ডাক দেওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য ধর্মঘটের, সেটিও প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা।

অনশন তুলে নেওয়ার পরই অনসনকারী জুনিয়ার চিকিৎসকদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ডও। সিসিইউ-তে রয়েছেন ডাক্তার অর্ণব মুখোপাধ্যায়, ডাক্তার সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা এবং ডাক্তার আলোলিকা ঘড়ুই। চলছে চিকিৎসা। পাশাপাশি গতকাল রাত থেকেই ফ্লুইড দেওয়া হচ্ছে এসএসকেম হাসপাতালের দুই আন্দোলনরত জুনিয়ার চিকিৎসক ডাক্তার অর্ণব এবং স্পন্দনকে। তাঁদের শরীরে অন্য কোনও জটিলতা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি অনশনরত ৩ জুনিয়ার চিকিৎসক, ডাক্তার স্নিগ্ধা, সায়ন্তনী এবং আলোলিকা। তাঁরা প্রত্যেকেই কিটোন পজিটিভ বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের পক্ষ থেকে।


দীর্ঘ অনশনের জেরে ১৪ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে পড়েন ডাক্তার তনয়া পাঁজা। তাঁকে ভর্তি করানো হয় ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। তবে হাসপাতাল সুত্রে খবর, আগের থেকে অনেকটাই স্থিতিশীল তিনি। তাই আজই  হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন তনয়া।

ধর্মতলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও অনশনে বসেছিলেন জুনিয়র  চিকিৎসকেরা। সোমবার দিন সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয় অনশনকারী জুনিয়ার চিকিৎসক সন্দীপ মণ্ডলকে। আপাতত তিনি সুস্থ আছেন বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের পক্ষ থেকে। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি ঠিক থাকলে আগামী কাল তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে।