• facebook
  • twitter
Friday, 18 April, 2025

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য

আজ পড়ুয়াদের দেওয়া ডেডলাইনের আগে বেরোবে কি সমাধান সূত্র?

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। তবে এখনই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোন‌ও রকম উত্তেজনা বা মানসিক চাপ পড়লে ভাস্করের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে। সেই কারণে আগামী কয়েকদিন তাঁকে বাড়িতেই বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা আগেই জানিয়েছিলেন, আজ সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্‌জ়িকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি)-কে বৈঠকে বসতে হবে। এই বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্রে বের না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। অরবিন্দ ভবনে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের অফিস। তবে ‘কন্ট্রোলার অফ এগ্জ়ামিনেশন’ অফিস ও বৃত্তি বিভাগ (স্কলারশিপ সেকশন)-কে এর আওতায় রাখা হয়নি। পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এ দিকে রবিবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। এই অবস্থায় সোমবারের মিটিং হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। শনিবারই পড়ুয়াদের একটি ইমেল পাঠিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ভাস্কর গুপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য পড়ুয়াদের অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। এই আবহে সোমবার বৈঠকের সময়সীমা নিয়ে পড়ুয়াদের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভাস্করের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা আপাতত ভালো। রক্তচাপজনিত যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা নেই। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অন্তত ১৫ দিন তাঁকে বাড়িতে বিশ্রামের মধ্যে থাকতে হবে। মাথা ঘোরা ও ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার সমস্যার জন্য তাঁর ফিজিওথেরাপি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১ মার্চ শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গন্ডগোলের ঘটনার পর আলোচনা চেয়ে উপাচার্যকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। বুধবার বিকেল ৪ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল ভাস্কর গুপ্তকে। তবে বুধবার সকালেই বাইপাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। জানা গিয়েছে, রক্তচাপজনিত কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ভর্তি হওয়ার চার দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন ভাস্কর।
উল্লেখ্য, যাদবপুর কাণ্ডে শনিবার শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। ১ মার্চ ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ঘটেছিল তা ব্রাত্য বসুর গাড়ির চালকের থেকে জানতে চেয়েছে তদন্তকারীরা। এছাড়াও এই ঘটনায় হাসপাতালে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত ও আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের বাড়িতে গিয়ে তাঁরও বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। আরজি কর কাণ্ড ও যাদবপুর কাণ্ড এই দুইয়ের প্রতিবাদে রবিবার ফের রাস্তায় নেমেছিল নাগরিক সমাজ। হাজরা থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত দীর্ঘ মিছিল করেছেন তাঁরা।
News Hub