• facebook
  • twitter
Saturday, 22 March, 2025

দত্তপুকুর কাণ্ডে জানা গেল মৃতের পরিচয়, খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

ত্রিকোণ প্রেম সহ এই খুনের ঘটনায় আরও দুটি তত্ত্ব উঠে এসেছে

ফাইল চিত্র

দত্তপুকুরে মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অবশেষে জানা গেল মৃতের পরিচয়। তাঁর হাতের ট্যাটু দেখে দেহ শনাক্ত করেছেন তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ত্রিকোণ প্রেম সংক্রান্ত গন্ডগোলের জেরেই এই খুন হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবে সামনে এসেছে আরও দুটি তত্ত্ব।

মৃত যুবকের নাম হজরত লস্কর। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষ্মীকান্তপুরে। তিনি বরাহনগরের ঝুপড়ি এলাকায় থাকতেন। চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো অসামাজিক কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে গত কয়েকদিন আগে তিনি অপরাধ জগৎ থেকে সরে এসে সৎভাবে বাঁচার চেষ্টা করছিলেন। গত সোমবার দত্তপুকুর থানার ছোটো জাগুলিয়ার মালিয়াকুর বাজিতপুর এলাকায় একটি ফাঁকা জমি থেকে তাঁর মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও পর্যন্ত তাঁর কাটা মুন্ডু খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে মৃতের পরিচয় জানতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে।

তবে মৃতদেহের বাঁ হাতে থাকা একটি ট্যাটুকে হাতিয়ার করে যুবকের পরিচয় জানার কাজ শুরু করা হয়। জেলার বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেই ট্যাটুর ছবি। মৃতের হাতে একটি লাভ সাইন ও ইংরাজি হরফে ‘বি’ অক্ষর লেখা ছিল। এই ট্যাটুটি হজরতের পরিবারের সদস্যরা চিনতে পারেন। এরপর বৃহস্পতিবার বারাসাত মেডিক্যাল কলেজের মর্গে এসে দেহ শনাক্ত করেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি গাইঠাটা থানায় মিসিং ডায়েরি করেছিল হজরতের পরিবার। হজরতের পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশ তাঁর মামাতো ভাই ওবায়দুল গাজিকে আটক করে। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি ওবায়দুলের স্ত্রী পূজা দাসকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, হজরত একাধিক বিয়ে করেছে। পূজার সঙ্গে হজরতের পুরনো সম্পর্ক ছিল। হজরতের সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীনই পূজা বিয়ে করেন ওবায়দুলকে। বিয়ের পরেও হজরতের সঙ্গে পূজার সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশের অনুমান, সেই রাগেই হয়তো হজরতকে খুন করে থাকতে পারেন ওবায়দুল। এই ঘটনায় পূজার ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তবে ত্রিকোণ প্রেম সহ এই খুনের ঘটনায় আরও দুটি তত্ত্ব উঠে এসেছে। সম্প্রতি পুলিশের চর হিসেবে কাজ করছিলেন হজরত। তাঁর খবরের জোরেই কয়েকজন দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হয়। সেই কারণে তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। এছাড়াও চুরির টাকা ভাগবাঁটোয়ারা করা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেও এই খুন হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশের একাংশ।