আইসিসি-র ১৮তম পরিবেশ সম্মেলন টেকসই উন্নয়নে সার্কুলার অর্থনীতির গুরুত্ব

নিজস্ব চিত্র

ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স (আইসিসি) আয়োজিত ১৮তম পরিবেশ পার্টনারশিপ সম্মেলনে সার্কুলার অর্থনীতির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের উপায় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ড. শশী পাঁজা, পরিবেশ সচিব অভিনব চন্দ্র, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রোশনি সেন, জার্মান কনসাল-জেনারেল বারবারা ভস এবং বিশিষ্ট শিল্পপতিরা।

ড. শশী পাঁজা পশ্চিমবঙ্গের টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। গ্রিন হাইড্রোজেন নীতি এবং নবায়নযোগ্য শক্তি প্রচার নীতির মাধ্যমে রাজ্যকে গ্রিন এনার্জির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হচ্ছে।’ তিনি আরও জানান, খড়গপুরে দেশের বৃহত্তম বোতল-টু-বোতল রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট উদ্বোধন এবং সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ পুনর্বসান প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য।

অভিনব চন্দ্র পরিবেশ ও অর্থনীতির ভারসাম্য বজায় রাখতে ছয়টি ‘আর’—রেগুলেশন, রিডিউস, রিপেয়ার, রিইউজ, রিসাইকেল, এবং রিজেনারেট—এর ওপর জোর দেন। রোশনি সেন বলেন, ‘লিনিয়ার ইকোনমি থেকে সার্কুলার ইকোনমিতে স্থানান্তর অর্থনীতি ও পরিবেশের সমন্বয় সাধনে সাহায্য করবে।’


জার্মান কনসাল-জেনারেল বারবারা ভস জানান, পরিবেশ সুরক্ষায় ভারত বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। সার্কুলার অর্থনীতি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করবে।

এই সম্মেলনে কলকাতার ধাপা ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে শক্তি উৎপাদন, প্লাস্টিক বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার, এবং কৃষি বর্জ্য থেকে বায়োফুয়েল উৎপাদনের মতো প্রকল্পগুলির ওপর বিশেষ আলোচনা হয়।