বারুদের স্তূপ দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণ। শনিবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের চম্পাহাটিতে। এখানকার হাড়াল গ্রামের সর্দার পাড়ায় এক বাজি ব্যবসায়ীর বাড়িতে এই বিস্ফোরণটি ঘটে। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ওই বাজি ব্যবসায়ী পিন্টু মণ্ডল সহ আরও দুইজন। তাঁদের নাম শুভঙ্করী সর্দার ও ভক্তি সর্দার। জখমদের দ্রুত এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বেআইনি বাজি কারখানা ও নিয়ম না মেনে বাজি মজুত করার ফলে রাজ্যে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। গত মাসে হাওড়ার উলুবেড়িয়াতে একই ঘটনা ঘটে। এখানকার ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। যার জেরে বাড়ির দরজা ও জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এমনকি বাড়ির বেশ কিছু দেওয়ালে ফাটল ধরে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই বাড়িতে বেআইনিভাবে প্রচুর পরিমাণে বাজি এবং বাজির মশলা মজুত করা হয়েছিল। যার জেরে এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এছাড়া উলুবেড়িয়ার গঙ্গারামপুরেও আরও একটি ঘটনা ঘটে। সেখানে বাজি ফাটানোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তিন শিশু। তাদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। একটি চরকির ফুলকি থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়তেই পুরো বাড়িটাই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এমনকি পার্শ্ববর্তী দোকানেও আগুন লেগে যায়।
কিন্তু ফের কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণটি ঘটে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির চারিদিকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যার জেরে বাড়িতে মজুত করা বাজিতেও আগুন লেগে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় এলাকা কেঁপে ওঠে এবং ব্যবসায়ীর বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। যার ফলে আগুনে দগ্ধ হন এক মহিলা সহ দুই ব্যক্তি।
এদিকে এই বিস্ফোরণের জেরে অগ্নিকাণ্ডের পর স্থানীয় গ্রামবাসীরা আগুন নেভাতে ছুটে আসেন। খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, বাড়িতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরেই বাড়িতে মজুত থাকা বাজিতে আগুন লেগে যায়। যদিও এলাকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের একাংশের অভিযোগ, বাজি নয়, বোমা বিস্ফোরণের জেরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।