হাড়োয়া: ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৪ ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী

জয়ের পর নির্বাচনী আধিকারিকের কাছ থেকে শংসাপত্র নিচ্ছেন হাড়োয়ার তৃণমূল প্রার্থী রবিউল ইসলাম। নিজস্ব চিত্র

বাবার কিছু অসম্পূর্ণ কাজ রয়েছে, সেগুলি আগে করব। এখানে একটি হাসপাতাল আছে, সেটা উন্নত করার কাজ করব।’ হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে প্রয়াত সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের পুত্র তৃণমূল প্রার্থী রবিউল ইসলাম জয়ী হওয়ার পরই বললেন একথা।তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৪ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। রবিউল ইসলামের বাবা হাজী শেখ নুরুল ইসলামের ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট এবং ২৪ সালের লোকসভা ভোটে হাড়োয়া কেন্দ্রে থেকে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধানকে ছাড়িয়ে গেছেন রবিউল। আইএসএফ, বিজেপি, কংগ্রেস সহ সমস্ত নির্দল প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত বাঁচাতে প্রয়োজন ১৬.৬ শতাংশ ভোট। সিপিএমের জোট সঙ্গী আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম পেয়েছেন ১২ শতাংশ ভোট। বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস পেয়েছেন ৬.৬ শতাংশ ভোট। হাড়োয়া বিধানসভা উপনির্বাচনে এই বিশাল জয়কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কর্মীর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন রবিউল ।

বিরোধীরা দাঁত ফোটাতে পারল না কেন? এই প্রশ্নের জবাবে বলেন ‘বিরোধীরা যত আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করবে, আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলবে, তত বেশি মানুষ আমাদের উজাড় করে ভোট দেবে। সেই প্রমাণ আবার মিলেছে।’এদিন গণনা শুরু থেকেই প্রতিটা রাউন্ড শেষে ১০ থেকে ১২ হাজার বরের ব্যবধানে এগিয়ে যাচ্ছিলেন রবিউল। প্রথম রাউন্ড শেষে রবিউল ইসলাম এগিয়েছিলেন ১২,৯৭৩ ভোটে। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে এগিয়েছিলেন ২৩,০৮২ ভোটে। তৃতীয় রাউন্ডে ৩৪ হাজার ৪৫২ ভোটে এগিয়েছিলেন রবিউল। এইভাবে যত সময় গড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রবিউল ইসলামের জয়ের ব্যবধান তত বেড়েছে। সবশেষে ১৪তম রাউন্ডের পর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রয়াত হাজী শেখ নুরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম ১ লাখ ৩১ হাজার ২২৪ ভোটে জয়ী হয়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হাড়োয়া কেন্দ্র থেকে প্রয়াত শেখ হাজী নুরুল ইসলাম ৮৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। আইএসএফ প্রার্থী কুতুবউদ্দিন পুরকাইত পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ভোট। ছমাস আগের লোকসভা ভোটের হাজী নুরুল ইসলাম হাড়োয়া কেন্দ্রের প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়েছিলেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রবিউল ইসলাম প্রয়াত বাবা হাজী শেখ নুরুল ইসলামের জয়ের ব্যবধানকেও টপকে গেলেন। জয়ী হলেন ১লাখ ৩১ হাজার ২৮৪ ভোটের ব্যবধান।

হাড়োয়া কেন্দ্রে জয়ের পরেই সেখানে আসেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। অভিনন্দন জানান জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলামকে। মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন বিরোধীদের আর অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই ছিল না। ইচ্ছা আর অপপ্রচার দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। উন্নয়ন দিয়ে জয় করতে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে তারই ফসল এই জয়। সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজগুলো করেছেন মানুষ তার উপর আস্থা রেখে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে। আরজিকর কান্ড প্রভাব পড়েছে কিনা সে বিষয়ে পার্থক্য বলেন আরজিকর কান্ড ভোটে প্রভাব পড়েছে। দু তিনটি সংবাদ মাধ্যম যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুৎসা করেছে মানুষ তার বিরুদ্ধেই ভোট দিয়েছে।