কেএমডিএ নির্মিত নিকাশি ব্যবস্থা সরজমিনে খতিয়ে দেখলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। বারাসত এবং মধ্যমগ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে জলনিকাশি ব্যবস্থার জটিলতা প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হলেন মন্ত্রী। শনিবার সকালেই পরিদর্শন কার্যে নেমে পড়লেন পথে। সম্পূর্ণ জটিলতার ব্যাখ্যা দিয়ে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ জানিয়েছেন, বারাসত এবং মধ্যমগ্রাম পুরসভার অন্তর্গত হৃদয়পুর সংলগ্ন এলাকায় বারাসতের ৭-৮টি ওয়ার্ড এবং মধ্যমগ্রামের ৩-৪টি ওয়ার্ডের জল মূলত মধ্যমগ্রামের উপর দিয়ে গিয়ে সিসি-১ ক্যানেলে পড়ে।
এই নালা নির্মিত হয়েছিল ২০১৬ সালে কেএমডিএ কর্তৃক। সিসি-১ ক্যানেল নির্মাণ কার্যে কিছু ত্রুটি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী খোদ। যার জেরে বর্ষাকালে এই জল সঠিক ভাবে বয়ে যেতে না পারায় বারাসতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং মধ্যমগ্রামের কিছুটা অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফলে ভোগান্তির শিকার হন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই সমস্যার সমাধান করতেই কেএমডিএ, বারাসত এবং মধ্যমগ্রাম পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বিশেষ আলোচনা করেন খাদ্যমন্ত্রী। রথীনের স্পষ্ট নির্দেশ, নির্দিষ্ট ক্যানেল পরিষ্কার করতে হবে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে।
উল্লেখ্য, এই ড্রেন নির্মাণের সময় রথীন ঘোষ মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। সে কারণেই এই নিকাশি ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে তাঁর। নিমাই ঘোষ বলেন, ‘মন্ত্রী গোটা নিকাশি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় উপদেশ দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই সমস্যার সুসমাধান হবে।’ এদিন মন্ত্রীর পরিদর্শন পর্বে উপস্থিত ছিলেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ, বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখার্জি, বারাসত পুরসভার পৌরপারিষদ সদস্য অরুণ ভৌমিক, অভিজিৎ নাগ চৌধুরী-সহ কেএমডিএ, বারাসত এবং মধ্যমগ্রাম পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা।