কলকাতার ফের অগ্নিকাণ্ড। সাতসকালে আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে। বস্তির একটি বাড়িতে আচমকাই আগুন লেগে যায়। ক্রমেই তা আশপাশের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জখম হয়েছেন রানা নস্কর নামে এক যুবক। একটি ফুড ডেলিভারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত তিনি। এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘিঞ্জি গলির মধ্যে ১৪৮ নম্বর প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে এই দোতলা বাড়ি। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বাড়ির একতলায় রান্না করছিলেন এক মহিলা। সেই সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন ধরে যায়। মহিলা বেরিয়ে আসতে পারলেও, দোতলায় থাকা তাঁর ছেলে বেরোতে না পেরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থাতেই ওপর থেকে ঝাঁপ দেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেওয়া হলেও তারা আসতে দেরি করে। কমপক্ষে ১০ বার ফোন করার পর, প্রায় এক ঘণ্টা বাদে দমকল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। দমকল দেরিতে আসার কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। এক ঘণ্টার আগুন নিভিয়ে ফেলেন দমকলের কর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গুরুতর জখম অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ যুবককে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। পুলিশের বিরুদ্ধেও গড়িমসির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনাস্থল তাদের এলাকায় পড়ে না বলে টালবাহানা করে গলফ গ্রিন ও চারু মার্কেট থানার পুলিশ। পরে লেক থানার পুলিশ এলাকায় আসে।
ঘটনাস্থল থেকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। কমপক্ষে ৬ থেকে ৭টি বাড়ি আগুনে পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অগ্নিকাণ্ডের সাড়ে তিন ঘণ্টা বাদে স্থানীয় কাউন্সিলর এলাকায় আসেন। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, যাঁদের বাড়ি পুড়ে গিয়েছে, তাঁদের নতুন করে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।