রাজ্যের ছয় বিধানসভায় উপনির্বাচনের মধ্যেই বুধবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে নওশাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফ। পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের দিকে আঙুল তুলেছে আইএসএফ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের ১৪১ বুথের কৃষ্ণমাটি এলাকায় তৃণমূলের একটি কার্যালয় ছিল। মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে ওই কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এ কাজ আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের। অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কালাম মোল্লার বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ, পুলিশ তদন্ত করে অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দিক। শীঘ্রই ধরা হোক অপরাধীদের।’
ওই তৃণমূল নেতা জানান, বুধবার ভোরে স্থানীয় সব্জি বিক্রেতাদের নজরে আসে বিষয়টি। তাঁদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুড়ে যাওয়া কার্যালয় দেখতে যান স্থানীয় নেতারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইএসএফের জেলা পরিষদের সদস্য রাইনুর হক। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে আগুন ধরানোর যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা ভিত্তিহীন। এই ঘটনার সঙ্গে আইএসএফের কোনও যোগ নেই। আইএসএফ হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।’ পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা হচ্ছে। শুরু হয়েছে পুলিশি টহলদারি।