একটি তেলের কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় মৃত্যু হল এক জনের। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের বাদুবাজার কাঞ্চনতলা এলাকার ঘটনা। বুধবার সকালে আচমকা এই কারখানায় আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে পৌঁছে ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। কিন্তু সন্ধ্যের পরও কারখানার একাধিক জায়গায় ধিকি ধিকি আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
আগুন লাগার পর প্রাথমিক পর্যায়ে কারখানার কর্মীরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিলেন। তারপর স্থানীয়রা সেই কাজে হাত লাগান। কিন্তু আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় তাঁরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। তারপরই খবর দেওয়া হয় দমকলকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কারখানার বয়লারে আচমকা বিস্ফোরণ হয়। সেই আগুনের স্ফুলিঙ্ক ছিটকে এসে পড়ে বয়লার চেম্বার ও পাশের গোডাউনে। সেই সময় সেখানে ৩ জন শ্রমিক কর্তব্যরত ছিলেন। তাঁরা ৩ জনেই অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর বাড়ি বনগাঁয়।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত আগুন লাগার ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কারখানাটিতে রাসায়নিক সহ অন্যান্য দাহ্য বস্তু ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই কারণে গোটা কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এবিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হালিমা বিবি বলেন, ‘”এখানে অনেকগুলো কারখানা রয়েছে বলে জানতাম। তবে এভাবে দাহ্য পদার্থের কারখানা ছিল বলে জানতাম না। প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে কারখানা চলছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য গৌরচন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘যতদূর জানতে পেরেছি এখানে পেট্রল ডিজেলকে পরিশ্রুত করে বায়ো ডিজেলে রূপান্তরের কাজ করা হত। এর আগে একবার ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটেছিল, তখনই কারখানা কর্তৃপক্ষকে সাবধান করা হয়েছিল। তবে তারপর কারখানা কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে আদৌ কোনও পদক্ষেপ করেছিলেন কি না জানি না।’