পাসপোর্টের নথি যাচাই করতে গিয়ে জন্মের জাল শংসাপত্র তৈরির বড়সড় চক্রের সন্ধান পেল কলকাতা পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, বিহারে ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র বা বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি হত। তারপর মোটা টাকার বিনিময়ে সেগুলি বিক্রি করা হত। পুলিশের অনুমান, পাসপোর্ট কেন্দ্রের বাইরে যে সমস্ত দালালরা কাজ করেন, তাদের একাংশ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত।
সম্প্রতি এই জাল শংসাপত্র তৈরির ঘটনায় কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের হাতে ধরা পড়ে লক্ষ্মণ কুমার। তাকে জেরা করতেই বিহার যোগের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। লক্ষ্ণণের দেওয়া তথ্য তদন্তের গতি বদলে যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সদস্যরা এই মামলার তদন্তের জন্য বিহার যেতে পারেন বলে খবর।
সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের পাসপোর্ট বিভাগে ৬, ৭ জন আবেদনকারীর নথি যাচাই করার সময় প্রকাশ্যে আসে ভুয়ো জন্ম শংসাপত্রের বিষয়টি। ওই আবেদনকারীরা ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়েছিল। এরপর শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় ধৃত লক্ষ্মণ দাবি করেছেন, তার এক আত্মীয় বিহার থেকে টাকার বিনিময়ে এই জাল বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করিয়ে দিয়েছিল।
লক্ষ্ণণ পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সে বিদেশে চাকরি পেতে অনলাইনে আবেদন করার পর একটি সংস্থায় কাজ পান। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকায় যেতে পারছিলেন না। জন্মের শংসাপত্র না থাকায় পাসপোর্ট পাচ্ছিল না সে। এরপর দালালের মাধ্যমে লক্ষ্মণ নকল বার্থ সার্টিফিকেট বের করে। অবশ্য পুলিশ ভেরিফিকেশনে গিয়ে কারচুপির বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে।
নথি পরীক্ষার সময় বার্থ সার্টিফিকেটটি দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। বিহারের যে পঞ্চায়েত অফিস সার্টিফিকেট দিয়েছিল, সেখানে খোঁজ চালানো হয়। বিহারের সেই পঞ্চায়েত অফিস জন্মের শংসাপত্রের কপি দেখে জানায়, এই বার্থ সার্টিফেকেট তারা ইস্যুই করেনি। প্রতারণা, জালিয়াতি সহ একাধিক ধারায় লক্ষ্ণণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।