প্রাক্তন প্রেমিকাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, নিজেকেও শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা, চিকিৎসাধীন দুই প্রাক্তনী

এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে আত্মীয়কে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসা করাতে। চিকিৎসা করিয়ে গিয়েছিলেন বৈশালী মোড়ের কাছে অন্য আত্মীয়ের বাড়ি। তবে সেখান থেকে বেরোতেই ঘটল বিপত্তি। প্রাক্তন প্রেমিকের রোষের মুখে পড়তে হল তরুণীকে। ভর দুপুরে ব্যস্ত রাস্তার মধ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হল তরুণীকে।

মঙ্গলবার  বেলা তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ট্যাংরা থানার গোবিন্দ খটিক রোডের কাছে।  সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরে সম্পর্ক ছিল সোনারপুরের বাসিন্দা ঝন্টু মন্ডল এবং মুকুন্দপুরবাসী জুহির মধ্যে। তবে গত বছর ভাঙন ধরে সেই সম্পর্কে। তারপর বিয়েও করে নেন তরুণী। সেই রাগ এই ধরে রাখতে পারেনি প্রাক্তন প্রেমিক ঝন্টু। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, তরুণী তার আত্মীয়কে নিয়ে এনআরএস হাসপাতালে আসবে সেটা আগে থেকেই জানতে পেরেছিল ঝন্টু। সেই মতো নিজের কাছে রেখেছিল চপার। এর পর যখন বৈশালী মোড়ের আত্মীয়র বাড়ি থেকে তরুণী বেরিয়ে আসে তখন তার সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানার কারণ জানতে চায় প্রাক্তন প্রেমিক ঝন্টু। মাঝ রাস্তাতেই শুরু হয় বচসা। ঠিক সেই সময়ই তরুণীর গালে এবং পিঠে ধারালো চপার দিয়ে আঘাত করে সে।

তবে এখানেই শেষ নয়, তারপর নিজেকে প্রাণে শেষ করে দেওয়ার জন্য নিজের কপালেও অস্ত্রের কোপ মারে ঝন্টু। রাস্তার মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে দু’জনে। ঘটনা দেখে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস হাসপাতালে। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন দুজনে। সূত্রের খবর, তরুণীর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও আশঙ্কাজনক ঝন্টু। অন্যদিকে, শুধুই প্রেমে প্রত্যাখ্যান, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তদন্তে নেমে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।