মহালয়ার পুণ্যলগ্নে আরজি করে নির্যাতিতার মূর্তি স্থাপন

আজ মহালয়ার পুণ্যলগ্নে আরজি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসক তরুণীর আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর হাসপাতালের সহকর্মীরা। দেবীপক্ষের সূচনার পুণ্যতিথিতে নিহত চিকিৎসকের বাবা–মায়ের হাতেই ভাস্কর্যের উন্মোচন হবে বলে জানিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকরা। গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে শহরের রাজপথ।

এই ঘটনার প্রতিবাদে জনরোষের বিরল থেকে বিরলতম দৃষ্টান্ত দেখেছে গোটা দেশ। শহর থেকে জেলা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের আঁচ। আরজি কর কাণ্ডের আবহে এবার দেবীপক্ষ আসন্ন হলেও, উৎসবের আনন্দ এই শোক ভুলিয়ে দিতে পারছে না। কিন্তু সেই দেবীপক্ষের পুণ্যলগ্নেই আরজি করে নির্যাতিতার সহকর্মীরা নিহত চিকিৎসকের স্মৃতিতে একটি আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনের সামনে মার্বেলের বেদীর উপর বসানো হবে এই ফাইবার গ্লাসের মূর্তি।

এই মূর্তিটি তৈরি করছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদার বাসিন্দা শিল্পী অশোক সাঁই। জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহালয়ার দিন সকাল ১১টায় প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনের সামনে এই মূর্তি স্থাপন করা হবে। ভাস্কর্য উন্মোচনের পর জুনিয়র ডাক্তারদের নেতৃত্বে একটি মহামিছিল ও মহাসমাবেশ আয়োজন করা হবে।


এদিকে, সোমবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি শেষে জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ দফা দাবিতে পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁদের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হলো, সমস্ত হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় রেফারাল ব্যবস্থা চালু করা, ডিজিটাল বেড ভ্যাকান্সি মনিটরিং সিস্টেম বাস্তবায়ন। হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা, অন কল রুম, বাথরুমে হেল্পলাইন নম্বর ও প্যানিক বোতামের ব্যবস্থারও দাবি তুলেছেন তাঁরা।