• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এবার আর্থিক দুর্নীতির মামলা দায়ের করতে পারে ইডি

সোমবারই সন্দীপ সংক্রান্ত যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র দিল্লিতে প্রবর্তন ভবনে ইডির সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে।

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এবার তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। আরজি করে চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। পাশাপাশি তাঁরা হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও করছে। এবার তৎপরতা বাড়াল আরও এক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্রের খবর, সোমবারই সন্দীপ সংক্রান্ত যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র দিল্লিতে প্রবর্তন ভবনে ইডির সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ইঙ্গিত পেলেই আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইসিআইআর দায়ের করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালেও সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে যান সন্দীপ। সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই অফিসে প্রবেশ করেন তিনি। এই নিয়ে টানা এগারো দিন সিবিআইয়ের মুখোমুখি সন্দীপ। প্রায় প্রতিদিনই দীর্ঘক্ষণ চলছে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। তবে মাঝে শুধু রবিবার সিবিআই দপ্তরে যাননি সন্দীপ। সেই দিন অবশ্য সিবিআই আধিকারিকেরা সন্দীপের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিলেন । একাধিক নথিও উদ্ধার করেছে তাঁরা।

সোমবার অবশ্য সন্দীপ ছাড়াও, আরজি কর হাসপাতালের ফরেন্সিক কর্তা দেবাশিস সোমকেও তলব করা হয়। একই সঙ্গে, হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠও হাজিরা দিয়েছিলেন সিবিআই দপ্তরে। তাঁকে অবশ্য বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছিল। হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে তাঁদের প্রত্যক্ষভাবে যে যোগাযোগ রয়েছে এমনটাই মনে করছে সিবিআই।

আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে যখন সরগরম রাজ্য, ঠিক সেই সময়েই প্রকাশ্যে আসে আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত চালাচ্ছে অপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরে মোট চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সেই তালিকায় প্রথম নামটিই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের।

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপ ঘোষ এবং সঞ্জয় বশিষ্ঠকে নিয়ে আগেই বড় অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, সঞ্জয় বশিষ্ঠের নেতৃত্বেই ডাক্তারির পড়ুয়াদের হেনস্থা করা হত, তাঁদের থেকে টাকা তোলা হত। তিনি সন্দীপ ঘোষের কাছের লোক হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কখনই কেউ আওয়াজ তোলেনি। সরকারি টাকার অনিয়ম থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ভবনের অনুমতি ছাড়া টেন্ডার বণ্টন, স্বজনপোষণ-সহ বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে রবিবার রাজ্যের ১৫টি জায়গায় ভাগ হয়ে অভিযান তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআইয়ের পৃথক পৃথক দল। বেলেঘাটায় সন্দীপের বাড়ি থেকে শুরু করে আরজি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ, আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের ডেমনস্ট্রেটর দেবাশিস সোম-সহ প্রায় ১৫ জনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা।