• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

ভিক্টোরিয়ায় সকাল সকাল চাঞ্চল্য সেনার মক ড্রিলে

সেনা কর্তা প্রদীপ অগ্নিহোত্রি জানান, ‘এটি কোনও আসল জঙ্গি হানা নয়। এটি ছিল একটি মক ড্রিল। হঠাৎ হামলা হলে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে, তা পরীক্ষা করার জন্যই এই মহড়া আয়োজন করা হয়েছিল।’

বৃহস্পতিবার ভিক্টোরিয়ায় চলছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মক-ড্রিল। নিজস্ব চিত্র

সাত সকালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে জঙ্গি হানা! তা সামাল দিতে রীতিমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মহড়া করল আর্মি, নেভি এবং সিআইএসএফের জওয়ানরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ভিক্টোরিয়া চত্বরে প্রাতঃভ্রমণ করছিলেন সাধারণ মানুষ। ঠিক তখনই সেনাবাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে ফেলে পুরো এলাকা। মুহূর্তে পরিবেশ উত্তেজনায় ভরে ওঠে।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, কয়েকজন জঙ্গি এক ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে বন্দি করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই শুরু হয় সেনাবাহিনীর তৎপরতা। যদিও তা আসলে ছিল বাহিনীর মহড়া।

এদিন সকাল ৯টার মধ্যে ভিক্টোরিয়া চত্বর ঘিরে ফেলা হয়। এমন খবর পেয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান, আবার কৌতূহলীদের একাংশ দূর থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন।

সূত্রের খবর, জঙ্গি মোকাবিলায় সেনারা অত্যন্ত সাবধানে সাউথ গেট দিয়ে প্রবেশ করে। ভেতরে পৌঁছে তারা জানতে পারেন, এক ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে আটজন জঙ্গি ঘিরে রেখেছে। সিআইএসএফ বাহিনী বাইরে পজিশন নেয়, আর সেনারা ভেতরে অভিযান শুরু করে।

সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া অপারেশন চলে টানা ৩০ মিনিট। সাদা পাথরের মূর্তির আড়ালে লুকিয়ে থাকা দুই জঙ্গিকে ধরতে সেনাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। এর আগে ছয় জঙ্গিকে পাকড়াও করা হয়েছিল। অবশেষে বাকি দু’জনকে আটক করেই অভিযান শেষ হয়। উদ্ধার করা হয় অক্ষত অবস্থায় বন্দি ভিআইপিকে।

এমন কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও জঙ্গিরা কীভাবে ঢুকল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই সেনা কর্তা প্রদীপ অগ্নিহোত্রি জানান, ‘এটি কোনও আসল জঙ্গি হানা নয়। এটি ছিল একটি মক ড্রিল। হঠাৎ হামলা হলে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে, তা পরীক্ষা করার জন্যই এই মহড়া আয়োজন করা হয়েছিল।’