ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব পড়েনি শহর কলকাতায়। তবে প্রবল বৃষ্টির জেরে নাজেহাল তিলোত্তমা। সেই ভারী বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পরিষেবা চালু করে দিল দমদম বিমানবন্দর। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র জেরে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে কলকাতা ও ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই এই দুই বিমানবন্দরে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাতিল হয় বেশ কিছু উড়ান। কারণ, মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলা ও ওড়িশাতেই ‘দানা’র প্রভাব সবচেয়ে বেশি হওয়ার কথা ছিল। শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ পরিষেবা আবার চালু হয়ে গেল। কলকাতা বিমানবন্দরে স্বাভাবিকভাবে উড়ান ওঠানামা শুরু হয়ে গেল।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে। সাত সকালেই ঝুমঝুমিয়ে বৃষ্টি নামে তিলোত্তমার বুকে। দুপুরেও সেই বৃষ্টি অব্যাহত। বিকেল তিনটে নাগাদ বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও সাড়ে চারটে নাগাদ ফের ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। বৃষ্টির জেরে যাতে রানওয়ে ডুবে না যায়, সেজন্য কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসিয়ে জল সেচের ব্যবস্থা করে।
যদিও এই এলাকায় বর্তমানে নিকাশি ব্যবস্থার কিছু সমস্যা রয়েছে। বিমানবন্দরে জমে থাকা জল সাধারণত কৈখালির মালির বাগান এবং রাজারহাটের মণ্ডলগাঁতী হয়ে হলদিরাম দিয়ে বেরিয়ে যায়। নিউ টাউন রোড হয়ে এই জল বাগজোলা খালে গিয়ে পড়ে। কিন্তু হলদিরাম এলাকা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। কারণ, বর্তমানে বিমানবন্দর-গড়িয়া মেট্রো রুটের কাজ চলছে। এর জেরে এই এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা একেবারে বেহাল হয়ে পড়েছে। বিধাননগর পুর এলাকা নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকঠাক চালু রাখতে প্রায় দেড়শোটির মতো পাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে।