সেমিনার রুমের ভিতরে বহিরাগত কেউ ছিলেন না। ভাইরাল ভিডিয়ো প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখার্জি। সোমবার সকালে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। ভিডিয়োটি ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালের চতুর্থ তলার সেমিনার হলে তোলা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। ওই সেমিনার রুম থেকে সেদিনই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ভিডিয়োটি সেমিনার রুমের কি না সেবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইন্দিরা মুখার্জি জানিয়েছেন, ভিডিয়োটি সেমিনার রুমের ভিতরেই তোলা হয়েছে।
এদিন ডিসি (সেন্ট্রাল) বলেন, ‘সেমিনার রুমটা প্রায় ৫১ ফুট, ৩২ ফুটের। সেমিনার রুমের একটি অংশে মৃতদেহ ছিল। মৃতদেহ যেখানে ছিল তার থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত জায়গা পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে সেটি এই ৪০ ফুটের বাইরে যে ১১ ফুট জায়গা অবশিষ্ট ছিল সেখানে তোলা হয়েছে। এই স্থানে পরিবারের সদস্য, পুলিশ কর্মী, চিকিৎসক, ফোটোগ্রাফার, ভিডিওগ্রাফার সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তবে বহিরাগত কাউকে এই জায়গায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও জানান, পর্দা ঘেরা ৪০ ফুটের মধ্যে বহিরাগত কারও ঢোকা সম্ভব নয়। ওখানে পুলিশ ফোর্স ছিল। এই স্থানে শুধুমাত্র কয়েকজনকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তদন্তকারী অফিসার, ফরেন্সিক বিভাগের আধিকারিকরা। এছাড়াও মৃতদেহ সরানোর দায়িত্ব যাদের দেওয়া হয়েছিল তাঁরাও এই স্থানে প্রবেশ করেছিলেন। ফোটোগ্রাফার ও ভিডিয়োগ্রাফারদেরও ওই স্থানে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া আর কেউ ওই ৪০ ফুটের পর্দা ঘেরা স্থানে প্রবেশ করেননি।
উল্লেখ্য, এদিন সকালে ভাইরাল এই ভিডিয়োতে হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের ডেমোনস্ট্রেটর দেবাশিস সোম, তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পিএ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি রয়েছেন আর জি কর মেডিক্যাল আউটপোস্টের ওসি সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। এছাড়ার সেমিনার রুম চত্বরে আইনজীবী শান্তনু দে’কে দেখা গিয়েছে।