বর্তমানে রাজ্যের পাশাপাশি সারা দেশ জুড়ে চাকরির মন্দা। একাধিক নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করেও মিলছে না চাকরি। এবার এই চাকরির মন্দাকেই কাজে লাগাচ্ছে সাইবার দুষ্কৃতীরা। এতদিন পর্যন্ত কখনও ডিজিটাল অ্যারেস্ট কিংবা পার্সোনাল লোন দেওয়ার নাম করে সাইবার চক্র চালাতো দুষ্কৃতীরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হারানোর মতো ঘটনা।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, বেশিভাগ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে বেকার যুবক-যুবতীদের। টার্গেট করা হচ্ছে, মূলত তাদের সার্চ ডিটেলসকে নজরে রেখেই। সাধারণত বেকার যুবক-যুবতীরা লিঙ্কডইন কিংবা ইনডিডের মতো অ্যাপ ব্যবহার করে চাকরির সন্ধান করে। সূত্রের খবর, সেই সমস্ত অনলাইন মাধ্যমেই নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসেছেন সাইবার দুষ্কৃতীরা। প্রথমে দেওয়া হচ্ছে চাকরির টোপ। সেই ফাঁদে পা ফেললেই নেওয়া হচ্ছে অনলাইন ইন্টারভিউ। তার পরেই শুরু হচ্ছে জালিয়াতি চক্র। সেক্ষেত্রে একাধিক বহুজাতিক সংস্থার নাম, সিলমোহর ব্যবহার করছে দুষ্কৃতীরা।
সূত্রের খবর, ইন্টারভিউ পাশ করলে চাকরিপ্রাপকের মেল আইডিতে পৌঁছে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অফার লেটার। অফার লেটার দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করলেই সর্বস্বান্ত। মুহূর্তের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে আঁধার এমনকি যাবতীয় নথি চলে যাচ্ছে দুষ্কৃতীদের হাতে। একই সঙ্গে সাইবার বিভাগের কর্তারা আরও জানাচ্ছেন, অনেক সময় অফার লেটারের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে ল্যাপটপ এবং বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। সেই মতো চাওয়া হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা। শুধু তাই নয়, টাকা দিলে সেই টাকা বেতনের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সাইবার দুষ্কৃতীরা।
এ বিষয়ে সাইবার বিভাগের এক কর্তা জানাচ্ছেন, যদি প্রথমেই বুঝে নেওয়া যায়, যে সাইবার জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন তাহলে প্রথমেই সংশ্লিষ্ঠ থানাকে জানাতে হবে। অনেক সময় ঘটনা ঘটার পরে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নজরে এলে টাকা উদ্ধার করা যায়। যদিও বেশিভাগ ক্ষেত্রে প্রতারিতরা বুঝতে পারেন না প্রতারণার বিষয়টি। সেক্ষেত্রে পুলিশকে জানাতে দেরি হলে আমাদেরও কিছু করার থাকে না।