• facebook
  • twitter
Wednesday, 27 November, 2024

পুলিশের ‘অতিসক্রিয়তা’র বিরুদ্ধে  সিবিআই-তদন্তে ‘না’ আদালতের

সিবিআই সোমবার আদালতে জানায়, ইতিমধ্যেই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনার জল গড়িয়েছে অনেক দূর। পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই অভিযুক্ত। এবার হেফাজতে পুলিশি-অত্যাচারের ঘটনায় আপাতত সিবিআই তদন্ত হবে না, সোমবার এমনটাই সাফ জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।

এই মামলায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এবং উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করতে পারবে না সিবিআই। আগামী ৪ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ততদিন পর্যন্ত দুই তরুণীকে হেফাজতে নিয়ে অত্যাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে পারবে না সিবিআই।

প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ মিছিল থেকে অভিষেকের নাবালিকা কন্যাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে উঠেছিল। নিমতা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দুই তরুণী। এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ এনে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। অভিযোগ ছিল, হেফাজতে নিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ৮ অক্টোবর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৫ নভেম্বর আদালতে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশও দেন বিচারপতি। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেন, ‘পুলিশের এই আচরণ বরদাস্ত করা যায় না। যে ভাবে হেফাজতে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে, তাতে পুলিশের উপর আদালতের আর ভরসা নেই। তাই ওই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হোক।’

কিন্তু সিবিআই সোমবার আদালতে জানায়, ইতিমধ্যেই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মতো সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এবং উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। অথচ মূল মামলাকারীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। জানা যায়, সিবিআই এখনও পর্যন্ত মামলা নথিভুক্ত করেনি। এরপরই সিবিআই-তদন্ত প্রক্রিয়ায় সাফ ‘না’ জানিয়ে দেয় আদালত।