• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

ফের ব্যস্ত সময়ে মেট্রোয় ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের, সেন্ট্রালে প্রবল বিক্ষোভ

২৬ তারিখ থেকে চলতি মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত একাধিক বাসিন্দাকে এতদিন হোটেলে রাখা হয়েছিল।

ফের ব্যস্ত সময়ে মেট্রো ভোগান্তির সম্মুখীন নিত্যযাত্রীরা। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মীয়মান কাজ চলাকালীন হঠাৎ মাটির নীচ থেকে জল বেরোতে শুরু করে। যার জেরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তড়িঘড়ি ফাঁকা করে দেওয়া হয় বউবাজারের ১১টি পরিবারকে। মোট ৫২ জনকে স্থানান্তর করা হয় অন্য জায়গায়। শুক্রবার সকালে তার জেরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন সকাল সকাল সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের ভিতরে মেঝেতেই বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মেট্রোর প্রবেশপথ তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিন বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন খোদ কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। ব্যস্ত সময়ে মেট্রো পরিষেবা বন্ধের জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। মেট্রোর নির্মানের কাজের জন্য বউবাজার এলাকার বাসিন্দাদের বিভ্রান্তি নতুন নয়।

গত মাসের ২৬ তারিখ থেকে চলতি মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত একাধিক বাসিন্দাকে এতদিন হোটেলে রাখা হয়েছিল। মেট্রোর তরফেই তাঁদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। ৫ তারিখ বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই ফের দুর্ভোগ। সুড়ঙ্গে লিকেজের কারণে কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে ফের মধ্যরাতে ৫২ জন বাসিন্দাকে সরিয়ে দেওয়া হয় অন্যত্র। সকালে কেএমআরসিএল -এর আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গেলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদেরকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। এর পর স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরুপ দে–এর নেতৃত্বে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট অবরোধ করেন এলাকার বাসিন্দারা। এরপর তাঁরা সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। রীতিমতো মেট্রোর গেট লাফিয়ে টপকে মেট্রো স্টেশনের পথ অবরোধ করেন তাঁরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মেট্রো স্টেশনে। চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ নিত্যযাত্রীকে। পরে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদেরকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের চেষ্টায় ফের মেট্রো চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

কেএমআরসিএল তরফে জানানো হয়েছে, সেপ্টেমবর মাসের ১ তারিখ পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের সঙ্গে সংযোগরক্ষাকারী রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হয়েছিল। বুধবার রাত ১০ নাগাদ যখন মুচিপাড়া থানার অন্তর্গত এলাকায় পূর্বমূখী সুড়ঙ্গের সঙ্গে সংযোগরক্ষাকারী ‘বিশেষ উদ্ধার পথ’ –এর একটি ‘সেকেন্টপিল প্রাচীর’ কাটা হচ্ছিল, সম্ভবত তখন থেকেই অল্প অল্প করে জল ঢুকতে শুরু করে। তাছাড়া যেহেতু বর্ষাকালে এমনিতেই ভূগর্ভস্থ জলস্তর উঁচু থাকে। সেই কারণেও এই বিপত্তি ঘটে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।