• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘সুপ্রিম’ নির্দেশ মানতে বর্ধমান মেডিক্যাল  থেকেও সরানো হল সিভিক ভলান্টিয়ারদের

ডিএসপি হেড কোয়ার্টার অতনু ঘোষাল, ডিএসপি ডিআইবি বীরেন্দ্র কুমার পাঠক ও বর্ধমান থানার আইসি দিব্যেন্দু দাস সহ জেলা পুলিশের একটি দল হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে। কীভাবে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা যায়, সেই বিষয়গুলোও  খতিয়ে দেখা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে  বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে সরানো হল সিভিক ভলান্টিয়ারদের। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, স্কুল ও হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা যাবে না। রাজ্যকে হলফনামায় নিশ্চিত করতে হবে, কোনও স্কুল এবং হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানে সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়নি। এমনকি কোনও থানা এবং তদন্তের সঙ্গে জড়িত কোনও সংস্থায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়নি, এই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এর পরই সুপ্রিম নির্দেশ পালন করতে তৎপরতা শুরু করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে শুরু থেকেই অতি তৎপর জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। পুলিশের ৩ সদস্যদের একটি  দল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরজমিনে খতিয়ে দেখে। ডিএসপি হেড কোয়ার্টার অতনু ঘোষাল, ডিএসপি ডিআইবি বীরেন্দ্র কুমার পাঠক ও বর্ধমান থানার আইসি দিব্যেন্দু দাস সহ জেলা পুলিশের একটি দল হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে। কীভাবে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা যায়, সেই বিষয়গুলোও  খতিয়ে দেখা হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক ব্যানার্জি বলেন, হাসপাতাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশ ফোর্স। এমনিতেই হাসপাতাল চত্বরে পাকাপাকিভাবে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তার বিষয়টি আরও জোড়ালো করার জন্য পুলিশ আধিকারিকরা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন কমবেশি ৫০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার। এখন আদালতের নির্দেশ মানতে গিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবর্তে এত পুলিশকর্মী কোথায় মিলবে সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ রাখতে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পুলিশ ফোর্স বাড়ানো হয়েছে।