আরজি কর কাণ্ডের শুনানিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সেই মতো আরজি কর হাসপাতালের ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ২৯ জন সিভিককে। যদিও লালবাজার সূত্রে খবর, পুজোর আগেই হাসপাতালের ডিউটি থেকে ক্লোজ করা হয়েছিল এই ২৯জন সিভিককে। সেই জায়গায় লালবাজার থেকে পাঠানো হয়েছে কনস্টেবল পদের কর্মীদের। যার মধ্যে পুরুষ কনস্টেবল যেমন রয়েছে, ঠিক একইভাবে আছে মহিলা কনস্টেবলও।
বস্তুত পক্ষে, শহরের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশকর্মীদের পাশাপাশি কাজ করে সিভিকরাও। তবে গত আগস্ট মাসে যখন আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয় কলকাতা পুলিশেরই সিভিককে, তারপর থেকেই হাসপাতালে সিভিক ভলান্টিয়ারদের অবাধ বিচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। একই সঙ্গে আরজি কর মামলার শুনানিতে সিভিক পদে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি। তবে, সরকারি হাসপাতাল থেকে সিভিকদের তুলে নেওয়া হলেও, নিরাপত্তায় কোনও খামতি থাকবে না বলেই দাবি কলকাতা পুলিশকর্তাদের একাংশের।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের কথায়, ‘কে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করেন? কোন আইন বলে তাঁদের নিয়োগ করা হয়?’ যে প্রশ্নের উত্তর হলফনামা আকারে পরবর্তী শুনানিতে জমা দিতে হবে রাজ্যকে।