হারানো টাকা ফেরত পেয়ে কলকাতা পুলিশকে ‘ধন্যবাদ’ মেইল ব্যক্তির! নগরপাল সহ একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তাদের মেইল করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রানা দাস নামে দক্ষিণ শহরতলির এক বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, তাঁর জৈব রাসায়নিক তৈরির খামার রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। সেই কারখানায় তৈরি জৈব সার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি হওয়ার পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হয়। তাঁর কাছে সিবিআই এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর নাম করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে কলকাতা পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত গত এপ্রিল মাসে। গত ২২ এপ্রিল রানা দাসের কাছে সিবিআই এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয় পত্র দেখিয়ে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ভয় দেখিয়ে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ। পরে সাইবার জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন বুঝতে পেরে তিনি যোগাযোগ করেন নেতাজিনগর থানার সঙ্গে। তারপর নেতাজিনগর থানার এসআই সঞ্জয় কোনারের তত্ত্বাবধানে চলে তদন্ত। আর তাতেই উদ্ধার হয় ১ লক্ষ টাকা। একই সঙ্গে ফ্রিজ করে দেওয়া হয় ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। সম্প্রতি টাকা ফেরত পেয়ে কলকাতা পুলিশকে ইমেইল মারফৎ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এসআই সঞ্জয় কোনার এবং সাইবার বিভাগের সার্জেন্ট সঞ্জয় সাহার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
উল্লেখ্য,গত আগস্ট মাসে আরজি কর হাসপতালে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক তরুণী চিকিৎসককে। সেই কাণ্ডের পর থেকে ক্রমেই ধাক্কা খেয়েছে কলকাতা পুলিশের ভাবমূর্তি। একদিকে যেমন কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, অন্যদিকে জনতার হাতে হেনস্থার শিকারও হতে হয়েছে কলকাতা পুলিশের অফিসার থেকে কর্মী সকলকেই। মোটের উপর বলা যায়, বর্তমানে আগের থেকে অনেকটাই ক্ষীণ হয়েছে কলকাতা পুলিশের গরিমা। তবে কড়া হাতে নয়, বরং ঠান্ডা মাথায় ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সচেষ্ট হয়েছে। ফোর্স যেন কোনও ভাবেই হীনমন্যতায় না ভোগে, সেই কারণে গত সেপ্টেম্বর মাসে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই থানায় থানায় পরিদর্শন করে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন নগরপাল মনোজকুমার ভার্মা। আর এবার হারানো ভাবমূর্তির মাঝেই কিছুটা স্বস্তিতে কলকাতা পুলিশ।