হুগলিতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় শিশু পাচার চক্রের হদিশ। মহিলা ডাক্তারের বিরুদ্ধে শিশু পাচারের অভিযোগ। শুক্রবার শিশু পাচারের অভিযোগে উত্তরপাড়া থেকে এক মহিলা চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করল মুম্বই পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলার হেফাজতে থাকা দুই শিশুকে উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। একজন মহিলা ডাক্তার কীভাবে শিশু পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন, তা নিয়েই তাজ্জব এলাকাবাসী।
উত্তরপাড়া পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ওড়িশার একটি হাসপাতালে দাঁতের চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত বলে দাবি করেছেন। সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই মুম্বই পুলিশের ওয়াডরা ট্রাক টার্মিনাল থানার পুলিশ শিশু পাচারের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হুগলির এই মহিলা চিকিৎসকের নাম উঠে আসে। এরপরই মুম্বই পুলিশের চার সদস্যের দল মৌসুমীর খোঁজে বৃহস্পতিবার রাজ্যে এসে পৌঁছয়। শুক্রবার উত্তরপাড়া পুলিশের সাহায্য নিয়ে জ্ঞানেন্দ্র অ্যাভিনিউ থেকে এই চিকিৎসক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর কাছ থেকে পাঁচ বছর বয়সি ও দু’বছর বয়সি দুটি শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতকে শুক্রবার শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে হেফাজতে নেয় মুম্বই পুলিশ। শনিবার ভোরে তাকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এর আগেও সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে শিশু পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক যুগলকে গ্রেপ্তার করেছিল জিআরপি। সাঁতরাগাছির পর এবার হুগলির উত্তরপাড়া। শিশুপাচারের ঘটনায় নতুন করে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। দেশজুড়ে কী শিশু পাচার চক্র সক্রিয় হচ্ছে? পাচারের সঙ্গে বাংলার যোগ কতটা? অপরাধমূলক কাজে কী কোনও ব্যক্তি জড়িত, নাকি যুক্ত রয়েছে হাসপাতাল? যদি তাই হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে কোনও বড় দল এই কাজে যুক্ত বলেই ধারণা পুলিশের।