শিশু নিগ্রহের অপরাধী গা ঢাকা দিতে পালিয়েছিল ঝাড়গ্রামে। সেখানে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে কাজ নিয়েছিল হোটেলে সাফাইয়ের। তবে শেষ পর্যন্ত পায়ের ক্ষতই ধরিয়ে দিল অপরাধীকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার শেষ রাতে ঝাড়গ্রামের গোপিবল্লভপুর থেকে পাকড়াও করা হয় ৩৪ বছরের ভবঘুরে দোষী রাজীব ঘোষ ওরফে গোবরাকে।
শুক্রবার গভীর রাতে বটতলা থানা এলাকার ব্রিডন স্ট্রিটের ফুটপাথ থেকে তুলে যৌন নিগ্রহ করা হয় সাত মাসের এক শিশুকন্যাকে। পরের দিন, অর্থাৎ শনিবার সকালে শিশুটির খোঁজ মেলে এলাকারই এক অন্য ফুটপাথে। ঘটনার তদন্তে নেমে ফুটপাথ সংলগ্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। সূত্রের খবর, তাতেই দেখা যায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক যুবক। পায়ে সমস্যা রয়েছে তার। খানিকটা খুঁড়িয়ে হাঁটছে সে। তারপর শিশুটিকে নিয়ে যেতেও দেখা যায় তাকে। অপরাধীর খোঁজে সেই সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের সমস্ত থানায়। তার পরেই ঝাড়গ্রামের গোপিবল্লভপুর থেকে খোঁজ মেলে রাজীবের।
সূত্রের খবর, জানা যায় গোপিবল্লভপুরের এক হোটেলে সম্প্রতি কাজ নিয়েছে এক যুবক। যার পায়ে ঠিক একই রকম সমস্যা রয়েছে। তার পরেই খতিয়ে দেখা হয় কাজে যোগ দেওয়ার নথি। সূত্রের খবর, তাতেই ঘটনার দিন এবং কাজে যোগ দেওয়ার দিনের মধ্যে সামঞ্জস্য খুঁজে পান তদন্তকারীরা। যুবককে আটক করে জেরা করতেই অপরাধের কথা কবুল করে ভবঘুরে অপরাধী।