সরকারি জমি জবরদখল রুখতে কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা এই কাজে জড়িত তাঁদের কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। এক্ষেত্রে কে কোন দল করে তা দেখা হবে না। আইন আইনের মতো চলবে বলেই সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য ডেডলাইনও বেঁধে দেন মমতা। আগামী ৬ মাসের মধ্যে কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কোন কোন সরকারি জমি জবরদখল হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জমি জবরদখল করে তৈরি ফ্ল্যাটগুলির মিউটেশন ও পারমিশন নিয়েও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘আমি পরিষ্কার বলছি, যারা সরকারি জমি জবরদখল করে বসে গিয়েছে, নতুন করে যেন আর না হয়। নতুন করে কিছু হলে আইসি, এসপি, বিডিও, জেলাশাসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। মন্ত্রী, কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত, পুরসভা, নগরোন্নয়ন দপ্তরের কাউকে রেয়াত করব না। আইন সবার জন্য সমান। যারা বেআইনিভাবে জবরদখল করেছেন তাদের জন্য নয়া নীতি করে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি জমিতে বাইরে থেকে এসে ফ্ল্যাট তৈরি করছে। বিক্রি করে বাইরে চলে যাচ্ছে। তাদের যেখান থেকে পারো ধরে আনো। এই বিল্ডিংগুলির মিউটেশন, পারমিশন কে দিল? তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে।’
তিনি জানিয়ে দেন, জবরদখল হওয়া জমিগুলিতে যারা বসবাস করছেন বা দোকান তৈরি করে ব্যবসা করছে তাঁদের ৬ মাস সময় দেওয়া হবে। সরকারের তরফে সেই জমির জন্য একটা দাম বেঁধে দেওয়া হবে। তিন ধাপে টাকা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। সরকারকে টাকা দিয়ে বেআইনি জায়গাগুলিকে বৈধ করার সুযোগ থাকবে।
মমতার কথায়, ‘যারা অবৈধ ফ্ল্যাট বানিয়ে পালিয়ে গিয়েছে তাঁদের ধরতে হবে। দরকার হলে তাঁদের ইডি, সিবিআইয়ের মতো সরকারি সম্পত্তি ক্রোক করা হবে। কোনও নেতা-মন্ত্রীর তাঁবেদারি আমি সহ্য করব না। দোষ কোনও গরিব মানুষের নেই। যারা অনুমতি দিয়েছে, আমিও যদি দিয়ে থাকি, বা কোনও আধিকারিক করলে তাদের ব্ল্যাকলিস্টেড করতে হবে। কোনও আধিকারিক যুক্ত থাকলে তার পেনশনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা করতে হবে।’