• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

আরজি করে নির্যাতন ও হত্যা মামলায় সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে আদালতে গঠিত চার্জ, বিচার শুরু ১১ নভেম্বর

সরকারই ফাঁসাচ্ছে, আমি নির্যাতন-হত্যা করিনি: সঞ্জয়

আদালত থেকে বেরনোর পর আরজিকর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। নিজস্ব চিত্র

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল। ঘটনার প্রায় ৮৭ দিনের মাথায় চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। এপরই শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া। আদালত জানিয়েছে, আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ওই মামলায় শুনানি শুরু হতে চলেছে। শুনানি চলবে রোজ।

সোমবার দুপুরে আরজি করে ধর্ষণ–খুনের মামলায় অভিযুক্ত সঞ্চয় রায়কে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে আসা হয়। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তাঁকে আদালতে হাজির করান পুলিশকর্মীরা। দুপুর ২টো নাগাদ ধর্ষণ ও খুনের একাধিক ধারায় চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগেই সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করা হল। শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত -১ বিচারকের এজলাসে ধৃতের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (খুন), ৬৪(১) ধর্ষণ এবং ৬৬ ধারায় চার্জশিট দিয়েছিল।

এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারকের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত সঞ্জয়। পাশাপাশি শিয়ালদহ আদালত থেকে বেরোনোর সময়ও তিনি সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষকে দেখে চিৎকার করতে থাকেন। তিনি বলেন, ”আমার কোনও কথা শোনেনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমার নামে সব দোষ দেওয়া হচ্ছে। আমি ধর্ষণ–খুন করিনি। আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি, আমাকে নিচে নামিয়ে দেওয়া হল। আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। কিন্তু আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমাকে ডিপার্টমেন্ট চুপ থাকতে বলেছে।” এর আগেও আদালতে সঞ্জয় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু এভাবে সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁকে গলা উঁচিয়ে কথা বলতে শোনা যায়নি।

উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, ধর্ষণ–খুনের ঘটনায় কি শুধুমাত্র সঞ্জয়ই জড়িত, নাকি একাধিক ব্যক্তির হাত রয়েছে? যদিও সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটে শুধুমাত্র সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়েরই নাম উল্লেখ করা হয়। চার্জশিট পেশের ২৮ দিনের মাথায় এই মামলায় চার্জ গঠন সম্পন্ন হল।