সন্দীপদের বিরুদ্ধেও চার্জশিট পেশ করতে চলেছে সিবিআই

আদালতের পথে সন্দীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র

সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ–খুন মামলার বিচার প্রক্রিয়া। এখনও পর্যন্ত ৫১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষীদের তালিকা ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের আইনজীবীর হাতে। সোমবার থেকে শিয়ালদহ এডিজে আদালতে আরজি কর মামলার বিচার শুরুর কথা রয়েছে। অপরদিকে, আরজি কর কাণ্ডে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ধৃত হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধেও চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে সিবিআই।

আগামী সপ্তাহের শুরুতেই সন্দীপ ও অভিজিতের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ধৃতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়ে নতুন ধারা যোগ করার আবেদন জানাতে পারে সিবিআই। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যালের সেমিনার রুম থেকে এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটি যায় সিবিআইয়ের হাতে। পরবর্তীকালে আরজি করের ধর্ষণ–খুনের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তবে চিকিৎসককে খুন–ধর্ষণের মামালার চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে একমাত্র নাম হিসেবে ছিল সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নাম। যদিও আরজি কর কাণ্ডে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধী থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজের একাংশ।


সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতিদের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যকে। সিভিক ভলান্টিয়ার ইস্যুতে একাধিক প্রশ্নবানে বিদ্ধ হয়েছিল সরকার। এই সকল প্রশ্নের উত্তর হলফনামা আকারে শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছে রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টে আগামী শুনানিতে এই প্রসঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।