আইপিএল-এর উত্তাপের মাঝে শহরে বেটিং চক্রের হদিশ। বুধবার সাত সকালে অভিযান শুরু করল সিবিআই। সল্টলেকে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মোট পাঁচ জায়গায় এই তল্লাশি অভিযান চলে। একটি বেটিং অ্যাপ চক্রের সূত্র ধরেই শুরু হয়েছে এই অভিযান। সল্টলেকের এ ই ব্লকের বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীর নাম সুরজ চোখানিয়া। তিনি ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ব্যাংক ঋণের নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, অনেক আগেই ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে বেটিং অ্যাপ চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। এজন্য গত বছর তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে হানা দেয় অন্য এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালিয়েও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সেই ঘটনার একবছর পর হানা দিল সিবিআই। এদিন সাত সকালেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বাড়িটি ঘিরে ফেলে। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। তল্লাশি চলাকালীন বাবা সুরজ চোখানিয়া বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু সেখানে ছেলের দেখা পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় ছত্তিশগড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। এখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বাড়িতেও চলছে সিবিআই অভিযান। এই মামলার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত বেআইনি ভাবে আয় করা প্রায় ৫৮০ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে ইডি। তবে শুধু বাঘেলার বাড়িতে নয়, সেইসঙ্গে এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, কলকাতা সিবিআই হানার সঙ্গে এই তল্লাশির একটি যোগসূত্র রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ছত্তিশগড় ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, মুম্বই ও দিল্লির ১৫ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯ জন অভিযুক্তকে। এই মামলায় একাধিক ভিভিআইপি, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও বলিউড অভিনেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।