আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যখন জেরবার রাজ্য সরকার, ঠিক তখনই কোচিং সেন্টারে নাবালিকা ছাত্রীর যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে গিরিশ পার্ক থানার এক কোচিং সেন্টারে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক রোহিত পান্ডে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গিরিশপার্ক থানার মদন চ্যাটার্জী লেনে এক সরকারি আবাসনের নিচের তলায় দু’কামরার ঘর ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কোচিং সেন্টার চালাতো অভিযুক্ত রোহিত। সূত্রের খবর, রবিবার সময়ের কিছুটা আগেই কোচিং সেন্টারে চলে গিয়েছিল একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া ওই নির্যাতিতা। অভিযোগ, কোচিং সেন্টার ফাঁকা পেয়ে তার সঙ্গে অভব্য আচরণ করে অভিযুক্ত। অশালীনভাবে হাত দেওয়া হয় তার গায়েও। তারপরেই চিৎকার করে ওঠে ছাত্রী। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এলাকাবাসী। তবে তার আগেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয়। এর আগেও একইভাবে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করতো রোহিত। বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে সে। মাসখানেক হাজতবাসও হয়েছিল তার, এমনটাই জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। অন্যদিকে সঞ্জীব চৌবে নামে এক অভিভাবকের কথায়, ‘আমার মেয়ে দুই বছর পড়েছিল রোহিতের কাছে। পড়াশোনা ভালো হলেও, মাস্টারমশাইয়ের চরিত্রের দোষ আছে জানতে পেরে মেয়েকে ছড়িয়ে নিয়েছিলাম। এখন দেখছি ভালই করেছিলাম’।
রবিবার ওই ঘটনার পর নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়ির তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয় গিরিশ পার্ক থানায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করার পাশাপাশি পকসো আইনে মামলা রুজু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।