শুক্রবার ছিল কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশন৷ আরজি কর কান্ড নিয়ে পুরসভার অধিবেশনে বিজেপি কাউন্সিলররা এদিন সরব হন৷ প্লাকার্ড হাতে প্রদর্শিত হয় বিক্ষোভ, ওঠে স্লোগান৷ গেরুয়া শিবিরের কাউন্সিলররা অধিবেশন মুলতুবির প্রস্তাব দিলে, তা নাকচ করে দেয় শাসক শিবির৷ প্রতিবাদে অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি কাউন্সিলররা৷
উল্লেখ্য, প্রতি মাসে কলকাতা পুরসভার তরফে সকল কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি অধিবেশন হয়ে থাকে৷ এই মাসেও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ শুক্রবার পুর অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপি-র কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সজল ঘোষ, ২২ নম্বরের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিজয় ওঝা আরজি কর কান্ড নিয়ে সরব হয়ে স্লোগান তোলেন৷ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিতে শোনা যায় বিরোধীদের৷ বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ ও বিজয় ওঝা আরজি কর কান্ডের তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার স্মৃতির উদ্দেশ্যে অধিবেশনে শোকপ্রস্তাবও পাঠ করার দাবি জানান৷ দাবি মেনে নীরবতা পালন করা হয় পুরসভার অধিবেশন কক্ষে৷
এরপর বিজেপি কাউন্সিলররা নিহত চিকিৎসকের কথা ভেবে অধিবেশন মুলতুবি করার দাবি জানান। কিন্তু তা মানতে চাননি অ্যাক্টিং চেয়ারপার্সন অরূপ চক্রবর্তী এবং পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সহ শাসক দলের কাউন্সিলররা৷ প্রতিবাদে অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি কাউন্সিলররা৷ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অধিবেশন কক্ষের চারদিকে ঘুরে কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান তাঁরা৷ এরপর বাইরে বিক্ষোভ দেখান সজল ঘোষেরা৷ সজল বলেন, ‘খেলোয়াড়, শিল্পীদের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব পাঠ করা হয়। কিন্তু কর্তব্যরত একজন চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শোক প্রস্তাব পাঠ করতে রাজি নন এঁরা৷ এই সরকার এত নির্লজ্জ! কলকাতা পুরসভার ইতিহাসে এটা লজ্জা৷ এই পুরসভা চলাই উচিত নয়৷ আরজি করের ন্যক্কারজনক ঘটনায় কলকাতা সহ গোটা রাজ্যের মানুষ রাস্তায় নেমেছেন৷ তাই আমরা চেয়েছিলাম, অধিবেশন আজ মুলতুবি করে অন্য দিন রাখা হোক৷ কিন্তু তাতে তৃণমূল রাজি নয়৷’
এ প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘তদন্ত তো করছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সিবিআই৷ তাহলে ওঁরা কার কাছে বিচার চাইছেন? বিজেপি শাসিত গুজরাতে ধর্ষণকারীদের জেল থেকে ছাড়িয়ে মালা দিয়ে বরণ করে উৎসব পালন করা হয়৷ ওঁদের কাছ থেকে এসব কথা শুনব না৷ প্রতিবাদ করতে হলে তৃণমূল সরকার বিধানসভায় যে ধষর্ণ বিরোধী বিল আনবে, তা সমর্থন করে প্রতিবাদ জানান৷’