কলকাতা হাইকোর্টের ইউটিউব লাইভ  হ্যাক করে অশ্লীল ভিডিও!  তদন্ত শুরু

কলকাতা হাইকোর্টের  ইউটিউব লাইভ হ্যাক করে অশ্লীল ভিডিও! তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হল বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের ৭ নম্বর এজলাসের লাইভ স্ট্রিমিং। হাইকোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক অত্যন্ত গুরুতর বিষয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই অনুসন্ধান চালাচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের পর এবার কলকাতা হাইকোর্ট! হ্যাক হয়ে গেল  রাজ্যের শীর্ষ আদালতের ইউটিউব লাইভ।

এদিন আদালতের মেনসন চলাকালীন হঠাৎ করেই দশ মিনিটের কাছাকাছি অশ্লীল ছবি দেখতে পাওয়া যায়। আর এরপরেই তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় লাইভ স্ট্রিমিং। হঠাৎ করে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয় কলকাতা হাইকোর্টের অভ্যন্তরে। এদিন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে যান বিচারপতি থেকে আইনজীবী সবাই। তবে ঘটনার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের আইটি সেলের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এমনকি কলকাতা পুলিশেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে প্রকাশ। প্রাথমিক অনুমান, লাইভ স্ট্রিমিং হ্যাক করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে স্বাভাবিক ভাবেই চলছিল কলকাতা হাইকোর্টের কাজকর্ম।

গত শুক্রবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য অবকাশকালীন বেঞ্চ স্থগিত ছিল।সোমবার  অন্যান্য দিনের মতোই লাইভ স্ট্রিমিং চলছিল। অন্যান্য এজলাসের মতো বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের ৭ নম্বর এজলাসেও চলছিল লাইভ স্ট্রিমিং। হঠাৎ করেই মেনসন চলাকালীন সেখানে অশ্লীল ছবি চলতে দেখা যায়। আর তা আইনজীবীদের নজর আসতেই বিষয়টি জানান। তড়িঘড়ি লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট ওই এজলাসের। প্রাইভেট করে দেওয়া হয় ভিডিও। আইনজীবী সূত্রে প্রকাশ , প্রায় ১০ মিনিট ধরে অশ্লীল ছবি লাইভ স্ট্রিমিংয়ে চলে। জানা গেছে , কলকাতা  হাইকোর্টের আইটি সেল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কীভাবে কে ব কারা হ্যাক করল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


কলকাতা হাইকোর্টের  ইউটিউব চ্যানেল একটি স্পর্শকাতর বিষয়। আর সেই চ্যানেলে লাইভ স্ট্রিমিং হওয়ার ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হচ্ছে। ঘটনার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলটি সুরক্ষিত করতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক হয়ে যায়। ইউটিউব খুললেই দেখা যায় বেশ কিছু বিদেশি অ্যাড দেখানো হচ্ছে। দেখা যাচ্ছিল ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রচারের ভিডিও। এরপরেই রাতারাতি ইউটিউব চ্যানেলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সমস্ত লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করা হয়।

দীর্ঘক্ষণ পর যদিও ফের পুরানো অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেলটি ফিরিয়ে আনা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ আইটি সেল এবং দিল্লি পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে থাকে। সোমবারের এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের আইটি সেল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল এই ঘটনা আদালতের নির্দেশ পেলে তা খতিয়ে দেখতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।