জুনিয়র চিকিৎসকেরা আগেই ঘোষণা করেছিলেন পুজোর কার্নিভালের দিন তাদের পক্ষ থেকে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ পালন করা হবে। যার অনুমতি দেওয়া হয়নি কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে এবার ‘দ্রোহের কার্নিভালে’ অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবি কৃষাণ কাপুরের বেঞ্চের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হল জুনিয়র চিকিৎসকদের ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ কর্মসূচির।
কেন দ্রোহের কার্নিভালে’ অনুমতি দেয়নি পুলিশ?
পুজোর কার্নিভালের দিন জুনিয়র চিকিৎসকদের মানববন্ধন কর্মসূচি ‘দ্রোহের কার্নিভাল ‘ হলে অশান্তি ছড়াতে পারে। সেই দাবিকে সামনে রেখে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। সকাল থেকেই রানি রাসমণি ও তার সংলগ্ন এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। তবে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা উঠলে আবারও ধাক্কা খায় রাজ্য। আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের কার্নিভালে কোনও বাধা নেই। বরং কলকাতা পুলিশকে সুনিশ্চিত করতে হবে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা।
তবে ‘দ্রোহের কার্নিভালে ‘ কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হলেও জুনিয়র চিকিৎসকদের কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। ‘দ্রোহের কার্নিভালে ‘ কতজন মানুষ জমায়েত করবে তা কলকাতা পুলিশকে সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে হবে। এমনকি ‘দ্রোহের কার্নিভালে ‘ মানববন্ধন কর্মসূচি কোনওভাবেই রানি রাসমণি এলাকার বাইরে যেতে পারবে না। ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে, তার ভিতরেই থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখেই কার্নিভাল করতে হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রবি কৃষাণ কাপুরের বেঞ্চ।
তবে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবারও আবেদন করা হয় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পক্ষ থেকে। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এমনকি সকাল থেকে জারি করা কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে রানি রাসমণি এবং সংলগ্ন এলাকায় ১৬৩ ধারাও খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।