কাকদ্বীপে উল্টে যাওয়া ট্রলারের বন্ধ  কেবিন থেকে উদ্ধার ৮ মৎস্যজীবীর দেহ

কাকদ্বীপে উল্টে যাওয়া ট্রলারের বন্ধ কেবিন থেকে উদ্ধার করা হল আট জন মৎস্যজীবীর দেহ। তবে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ একজন মৎস্যজীবী। তাঁর নাম নিরঞ্জন দাস। ট্রলার ডুবির ৩৬ ঘণ্টা পর ট্রলারটিকে টেনে পাড়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু এত চেষ্টার পরও ট্রলারের বন্ধ কেবিনে আটকে থাকা ৮ জন মৎস্যজীবীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

দমকা হাওয়ার কারণে শুক্রবার মাঝরাতে কাকদ্বীপের বাঘের চর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে উল্টে যায় একটি ট্রলার। ট্রলারটির নাম এফবি গোবিন্দ। সেই ট্রলারে ১৭ জন মৎস্যজীবী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ট্রলার ডুবির খবর পেতেই শনিবার সকাল থেকে সমুদ্রে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। অপরদিকে ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর ৪ ঘণ্টা ভেসে থাকেন ট্রলারে থাকা ৮ জন মৎস্যজীবী। একটি ট্রলারকে দেখতে পেয়ে তাঁরা চিৎকার শুরু করেন। এরপর ভেসে থাকা ওই ৮ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়।

রবিবার ট্রলারটি লুথিয়ান দ্বীপের কাছে পাড়ে আনা হলে বন্ধ কেবিন থেকে নিখোঁজ থাকা ৯ জন মৎস্যজীবীর মধ্যে ৮ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহগুলি উদ্ধার করে স্পিডবোট ও ছোটো নৌকার মাধ্যমে হরিপুর খেয়া ঘাটে নিয়ে আসা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি কোটেশ্বর রাও এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার । পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১ জন মৎস্যজীবীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।


সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানিয়েছেন, মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেবে রাজ্য সরকার।  সাংসদ বাপি হালদার জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো তাঁর একটি দল এই উদ্ধার কাজের পুরো বিষয়টি তদারকি করেছে। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদানেরও আশ্বাস দেওয়া হয়।