আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ঝাড়ু-গঙ্গা জল নিয়ে থানা শুদ্ধিকরণ বিজেপির 

বিজেপির মহিলা মোর্চা বাহিনীর পক্ষ থেকে সোমবার রাজ্যজুড়ে থানা ”শুদ্ধিকরণ” কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিজেপির মহিলা মোর্চা প্রায় ১০০টি থানায় শুদ্ধিকরণ অভিযান পরিচালনা করে। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মহিলা মোর্চার কর্মীরা থানাগুলির সামনে গঙ্গার জল ছিটিয়ে, ঝাড়ু দিয়ে এবং গোবর ব্যবহার করে বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় মানিকতলা এলাকায়।

উত্তর কলকাতায় ডিসি অফিসের সামনে মহিলা মোর্চা কর্মীরা গঙ্গাজল ছিটিয়ে এবং ঝাড়ু দিয়ে শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি পালন করে। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, পূর্ণিমা চক্রবর্তী এবং নেতা তমোঘ্ন ঘোষ সহ অন্যান্য কর্মীরা। রীতিমতো পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে মহিলা কর্মীরা ডিসি অফিসের সামনে পৌঁছে যায় এবং সেখানে ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে। সকল বিজেপি কর্মীর মুখে একটাই স্লােগান, ”জাস্টিস ফর আরজি কর।” বিজেপির এই কর্মসূচির ফলে মানিকতলা এলাকায় কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়।

অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতার বেহালা থানার সামনে বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মীরা অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে তারা গোবর এবং গঙ্গাজল দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করেন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে গঙ্গাজল ছেটান। অগ্নিমিত্রা বলেন, ”থানাগুলির পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে, তাই আমরা বেহালা থানায় এসেছি শুদ্ধ করতে।”


হাওড়া সদরের মহিলা মোর্চার সভাপতি পৌলমী আদকের নেতৃত্বে হাওড়া থানায় একই রকম শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়, যেখানে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সহ অন্যান্য নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। মহিলা মোর্চার দাবি ছিল, রাজ্যে নারীদের এবং পুলিশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে, তাই পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ প্রয়োজন। থানাগুলির বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তারা গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি চালান।

অন্যদিকে, জেলার পুরুলিয়ার প্রতিটি থানাতেও বিজেপির নেতাকর্মীরা শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি পালন করেন। পুরুলিয়া সদর থানার প্রধান গেটে জমায়েত হয়ে তারা গঙ্গাজল ছিটিয়ে এবং ঝাড়ু দিয়ে থানার শুদ্ধিকরণ করেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙ্গা সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।