• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

বিজেপির স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে তুলকালাম, পুলিশের বাসে তোলা হল শুভেন্দুকে

অভিযান চলাকালীনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তোলা হয় পুলিশের বাসে।

বিজেপির স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হল সল্টলেকে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। অভিযান চলাকালীনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তোলা হয় পুলিশের বাসে। এর জেরে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিজেপি কর্মীরা। আর জি কর ইস্যুর প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবিতেই মূলত তাঁরা পথে নেমেছেন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি। এদিন হিডকো থেকে মিছিলটা শুরু হয়ে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে রওনা দিয়েছিল। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং সহ রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতা কর্মীরা। মিছিল শুরু হতেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সকলেই সুপ্রিম কোর্টের লাইফ শুনানি দেখেছেন। রাজ্য সরকার সবথেকে দামি আইনজীবী নিয়োগ করেছে । যে মুখ্যমন্ত্রী উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলছেন তিনিই আবার সুপ্রিম কোর্টে নিজের সরকারের সমস্ত বল প্রয়োগ করে লিগ্যাল ব্যাটেল লড়ছেন। যাতে জাস্টিস পাওয়া না যায়। মানুষ সব দেখছে।

এদিন স্বাস্থ্য ভবনের ৪ কিলোমিটার আগেই বিজেপির মিছিল আটকে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল পুলিশের। তবে বিজেপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড টপকে সামনের দিকে এগোতে থাকেন। এর জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্যদের ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে প্রিজন ভ্যানে তুলতে গেলে পুলিশকে একদল বিজেপি কর্মী ধাওয়া করে। অনেকে পুলিশের ভ্যানের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এতকিছুর পরও সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল সামনের দিকে এগিয়ে চলে। একটা সময় পুলিশের গাড়ির উপরে উঠে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এদিন সুকান্ত বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতেই এই অভিযান। পুলিশ বাধা দিলেও আমাদের আন্দোলন চলবে।’ শুভেন্দু, সুকান্তরা ছাড়াও এই মিছিলে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কেও দেখা যায়। মিছিলে বাধা দেওয়ায় স্বাস্থ্যভবনের অনেক আগেই ম্যাটাডোরের উপরে উঠে কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররা।

উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক তরুণী–চিকিৎসকের ধর্ষণ–খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এই মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রথম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তুলেছে বিজেপি। এই একই দাবিতে আজকের স্বাস্থ্যভবন অভিযানও।