অরাজনৈতিক হলেও নবান্ন অভিযানে লেগে গেল রাজনীতির ছোঁয়া। মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে এক সংগঠনের ব্যানারে হওয়া জমায়েতের নেতৃত্বে দেখা গেল বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যানারে রাজ্যের ‘ছাত্র সমাজ’ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান করবেন বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই দাবিতে টিকে থাকা গেল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
কলেজ স্কোয়্যার থেকে এদিন একটি বড় মিছিল নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখানেই প্রতিবাদীরা জমায়েত করে ছিলেন। সেই জমায়েতে অর্জুন সিং সামনে এসে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ।
নবান্ন অভিযানের উদ্যোক্তারা দাবি করেছিলেন, মঙ্গলবারের অভিযানের সঙ্গে পদ্ম শিবিরের কোনও যোগ নেই। এই কর্মসূচির সামনের সারিতে কোনও রাজনৈতিক নেতা থাকবে না। জানানো হয়েছিল, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যানারে শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীরা এই অভিযান চালাবেন। কিন্তু মঙ্গলবার অন্য ছবি চোখে পড়ল।
আজকের অভিযানে ছাত্রদের কারও গায়ে হাত পড়লে অবস্থানে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও বিক্ষোভকারীদের সবরকমের আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন। ছাত্রদের উপর অত্যাচার হলে পশ্চিমবঙ্গ স্তব্ধ করে দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু। আজই পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
নবান্ন অভিযানকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু এই অভিযানে তাঁরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কি না সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপি নেতাদের রাস্তায় দেখে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এপ্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, নবান্ন ঘিরে বিজেপির চক্রান্তমূলক লম্ফঝম্প চলছে। আর জি কর কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের দায়িত্ব থেকে নজর ঘোরাতে এসব করা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর।