• facebook
  • twitter
Thursday, 17 April, 2025

সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ‘বেলা সাহা স্মৃতি বিদ্যামন্দির’ স্কুলের উদ্বোধন

‘এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সাহা পরিবার এই স্কুলটি দত্তক নিয়েছে। এই ধরনের উদ্যোগে আমি অংশীদার হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করছি।’

নিজস্ব চিত্র

নতুন এক স্কুলের যাত্রা শুরু হল সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায়। দিনটিও নির্বাচন করা হয়েছিল ভেবেচিন্তেই। বাগদেবীর আরাধনার দিনটিতেই নতুন এই স্কুলের সূচনা হল পায়রা উড়িয়ে, স্কুলের পতাকা উত্তোলন করে। স্কুলের নাম ‘বেলা সাহা স্মৃতি বিদ্যা মন্দির’। প্রাথমিক এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি দরিদ্র শিশুগুলির পেটও ভরবে। শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স-এর এই সমাজসেবামূলক উদ্যোগে শিক্ষার সুযোগের দ্বার খুলে গেল প্রত্যন্ত এই এলাকার শিশুদের সামনে।

‘বেলা সাহা স্মৃতি বিদ্যা মন্দির’ নামকরণ হয়েছে এমন একজনের নামে যিনি তাঁর জীবিতকালে জ্ঞানের শক্তিতে বলীয়ান ছিলেন। যাঁরা তাঁর সান্নিধ্যে এসেছেন সেইসব অনুগামীদের সবসময় অনুপ্রাণিত করে গিয়েছেন। ইনস্টিটিউট অফ কালচার, রামকৃষ্ণ মিশন, গোলপার্ক, কলকাতার অধ্যক্ষা সুপর্ণানন্দজি মহারাজ অনুষ্ঠআনের সূচনা করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুপিটার ওয়াগনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সভআপতি এম এল লোহিয়া। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দেবব্রত সরকার, কলকাতার গোয়েঙ্কা কলেজ অফ কমার্স-এর প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সুজিত রায়, বিশ্বযোগ-এর যোগীবিশ্ব, সুন্দরবন বিনোদপুর শিবম সোসাইটির সচিব দীপঙ্কর মণ্ডল।

এই স্কুলের উদ্বোধন উপলক্ষে এম এল লোহিয়া বলেন, ‘এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সাহা পরিবার এই স্কুলটি দত্তক নিয়েছে। এই ধরনের উদ্যোগে আমি অংশীদার হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করছি।’

স্বামী সুপর্ণানন্দজি মহারাজ বলেন, ‘এই পরিবার সবসময় সমাজের প্রতি প্রতিশ্রুতবদ্ধ। তাঁদের আরেকটি মহৎ উদ্যোগে আমি এখানে উপস্থিত হতে পেরে এবং স্কুল দত্তক নেওয়ার জন্য আশীর্বাদ করতে পেরে আনন্দিত।’
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের ডিরেক্টর রূপক সাহা বেলা সাহার একমাত্র ছেলে। এদিন তিনি বলেন, ‘আমার মা বেলা সাহা শিক্ষার অনুরাগী ছিলেন। স্কুল জীবনে তিনি শীর্ষস্থান অধিকার করতেন। এরপর কলেজের পড়াশোনা শুরু করেন বিয়ের আঠারো বছর পর। ডিস্টিংশন পেয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মা সবসময় মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত ছিলেন।’ বেলা সাহার মেয়ে সুচরিতা রায় বলেন, ‘মায়ের স্মৃতিতে নামকরণ করা এই স্কুলের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তাই আমরা চেষ্টা করব এমনভাবে এই স্কুলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যাতে এই বিদ্যামন্দির সার্থক হয়ে ওঠে।’