বাঁশদ্রোণীর ঘটনায় গ্রেপ্তারির সংখ্যা বেড়ে ২

বাঁশদ্রোণীতে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২। মহালয়ার সকালে বাঁশদ্রোণীতে জেসিবির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। আর তারপর থেকেই পলাতক ছিলেন পে লোডারের চালক। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় পে লোডারের চালক শম্ভুরামকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মালিককেও। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে গ্রেপ্তারির কথা জানান দক্ষিণ কলকাতা পুলিশের ডিসি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত।

তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, পে লোডারের মালিকই চালককে পালাতে সাহায্য করেছিল। মহালয়ার সকালে এক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বাঁশদ্রোণীতে। বাড়ির সামনেই যে মৃত্যু অপেক্ষা করছিল তা ধারণাতীত ছিল নবম শ্রেণির ছাত্রটির। কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওই এলাকার রাস্তায় বেশ কয়েকদিন ধরেই খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল। অভিযোগ, কোচিং সেন্টারে যাওয়ার সময়ই ওই ছাত্রকে ধাক্কা মারে জেসিবি। পিষে দেয় গাছের সঙ্গে। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি।

ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁশদ্রোণী। মৃত্যুর দায় কে নেবে? প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয়রা। কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করার দাবিতে সুর চড়ান তাঁরা। কিন্তু বুধবার দিনভর কাউন্সিলরের দেখা না পেয়ে বাড়তে থাকে স্থানীয়দের ক্ষোভ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। পাটুলি থানার ওসিকেও ছেড়ে দেয়নি উত্তেজিত জনতা। ওসিকে কাদা জলে নামিয়ে চলে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। পরে বিক্ষোভের মুখ থেকে ওসিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এমনকি ঘটনার রাতে থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। রাতভর ধরনায় সামিল হন তিনি। পরের দিন সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও পরে জামিন পেয়ে যান তিনি।


শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে দক্ষিণ কলকাতা পুলিশের ডিসি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত জানান, বাঁশদ্রোণীর পে লোডারের ধাক্কায় ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। আর তারপরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় পে লোডারের চালক এবং মালিককে। দমদম এবং চিৎপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। চালককে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সক্রিয় ভূমিকা ছিল পে লোডারের মালিক বিশ্বকর্মা শর্মার। সেই কারণেই মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।