বাঁশদ্রোণীর ছাত্রমৃত্যুকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে উত্তেজনা ছড়ানোর প্রচেষ্টা : কুণাল

‘বাঁশদ্রোণীর ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে অনেকেই অশান্তি ছড়ানোর প্রচেষ্টা করছেন।” বাঁশদ্রোণীর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি নাম উল্লেখ না করেই বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন।

কুণালের বক্তব্য, ”কেউ যদি সেখানে গিয়ে ক্রমাগত উস্কানি দেন এবং তার মূল উদ্দেশ্য যদি অশান্তি তৈরি করা হয়, তবে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। উনি সেখানে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছিলেন। পুলিশ প্রশাসন যথাযথ কাজ করেছে।”কুণাল আরও বলেন, ”দুর্ঘটনা সব সময় আকস্মিক। আমরা চেষ্টা করি এগুলো এড়াতে, তবে কখন, কোথায় এবং কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটবে, তা অনুমান করা প্রায় অসম্ভব। মাঝে মাঝে ব্যতিক্রমী কিছু ঘটনা ঘটে যায়।’
প্রসঙ্গত, মহালয়ার দিন বাঁশদ্রোণীতে রাস্তা সংস্কারের কাজ চলাকালীন মাটি কাটার যন্ত্রের (জেসিবি) চাপায় নবম শ্রেণির ওই ছাত্রটির মৃত্যু হয়, যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় স্থানীয় থানায় দীর্ঘ সময় অবস্থান করেছিলেন এবং পরে তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ অভিযুক্তদের পালাতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেছেন যে থানা থেকে তাঁর ব্যাগ আনতে দেওয়া হয়নি এবং পুলিশ তাঁকে শৌচালয়ে যাওয়ার সুযোগও দেয়নি। পরে আদালত থেকে জামিন পেয়ে তিনি মুক্তি পান।
এদিকে, কুণাল ঘোষ রাস্তা সংস্কারের প্রসঙ্গে বলেন, ‘সারা রাজ্যের মানুষ জানেন যে আগের সরকারের সময় রাস্তাগুলোর অবস্থা কী ছিল এবং এখন কেমন হয়েছে। রাজ্য সবসময় রাস্তাগুলি মেরামত করতে চায়, তবে একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা উচিত নয়।’