সম্প্রতি রবিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্য রাস্তায় যুবককে খুনের চেষ্টা করেছিল পাঁচজন দুষ্কৃতী। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জোড়াবাগান থানার পুলিশ। সেই ঘটনার পর এবার প্রকাশ্য রাস্তায় মামাশ্বশুরকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল সরশুনা এলাকায়। আহত প্রৌঢ়ের নাম প্রদীপ পাল। তিনি ঠাকুরপুকুর এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে সরশুনা থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নিজের দোকানে বসেছিলেন প্রৌঢ় প্রদীপ পাল। সেই সময় দোকানে চা খেতে আসে ভাগ্নিজামাই সঞ্জয় চৌধুরী (৪৮) এবং বরুণ পাল (৪৭)। সূত্রের খবর, চায়ের আসরে হঠাৎ করেই বচসা বাধে দুই পক্ষের মধ্যে। তখন প্রৌঢ়কে পিছন থেকে পরপর দুবার ছুরির কোপ মারে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়। জানা গিয়েছে, প্রৌঢ় যাতে পাল্টাঘাত করতে না পারেন সেই কারণে তাঁর হাত ধরে ছিলেন অপর অভিযুক্ত বরুণ। তিনিও ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা। ঘটনার পরে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় এক হাসপাতালে। তবে ক্রমেই অবস্থার অবনতি হতে থাকলে পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রদীপবাবুর পিঠে ছ’টি সেলাই পড়েছে। তবে অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রৌঢ় প্রদীপ পালের ভাগ্নির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার দক্ষিণ বেহালার বাসিন্দা সঞ্জয়ের সঙ্গে। তবে দীর্ঘদিন ধরেই দুই পরিবারের মধ্যে ছিল পারিবারিক বিবাদ। একই সঙ্গে টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করেও ঝামেলা ছিল দুই পক্ষের মধ্যে। যদিও সেই কারনেই খুনের পরিকল্পনা কিনা, তার তদন্ত করতে দুই অভিযুক্তদের জেরা করছে পুলিশ।