বাড়ির সামনে হামলা, এনআইএ তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে অর্জুন সিং

শুক্রবার বাড়ির সামনে হামলার অভিযোগ। ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। শনিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অর্জুনের আইনজীবী। অর্জুনের আবেদন গৃহীত হয়েছে। সোমবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের রেগুলার বেঞ্চে দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি।

অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ ছিল, শাসকদল তৃণমূলই তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। বোমাবাজিতে তাঁর পায়ে আঘাত লাগেও বলে জানা গিয়েছে। এরপরই শনিবার এনআইএ তদন্তের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অর্জুন সিং। শনিবার রাজ্যের তরফে কোনও আইনজীবী হাজির ছিলেন না আদালতে। এই মামলায় যুক্ত সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য।

শুক্রবার অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে ১৫-২০ রাউন্ড গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অর্জুনের অভিযোগ ছিল, ‘তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে নমিত সিং প্রায় ১৫-২০ জন জেহাদিদের নিয়ে আমার বাড়ির উপরে হামলা চালায়। আমার নিরাপত্তারক্ষীদের উপরও হামলা চালানো হয়েছে। ইট ছোঁড়া হয়। পুলিশের সামনেই চলে হামলা। আমার পায়ে বোমার স্প্লিন্টার লেগেছে। এই ছেলেটা আগেও আমাদের উপর বোমা চালিয়েছিল। প্রায় ২৫টির উপরে বোমা পড়ে। প্রায় ২০ জন পুলিশের সামনে ঘটে এই ঘটনা। কয়েকজন পুলিশকর্মীকেও ধাক্কা মারে হামলাকারীরা।’


অর্জুন সিং আরও বলেন, ‘আমাকে মেরে দেওয়ার চক্রান্ত ছিল। ওটা ভেস্তে গিয়েছে। এখানকার পুলিশ শুধু তামাশা দেখছে। ব্যারাকপুরে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। নিজে বাঁচার জন্য নিজেকে লড়তে হবে। মা দুর্গা এসেছেন, নিজের লড়াই নিজেকে লড়তে হবে।’

পাল্টা জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘অর্জুন সিং মিথ্যা অভিযোগ করছেন। অর্জুন নিজের হাতে ৪ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। অর্জুনের লোকেরা পিছন থেকে বোমা ছুঁড়েছে। নিজের বোমায় নিজে জখম হয়েছে অর্জুন সিং। অর্জুনের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। অর্জুন চেষ্টা করছে ব্যারাকপুরকে অশান্ত করতে। কখনও নমিত সিংহ আর সোমনাথ শ্যামের উপর দায় চাপাচ্ছেন।’ বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ।