ক্যানিংয়ে থানায় ঢুকে পুলিশকে মারধরের  অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

ক্যানিং থানা। ফাইল চিত্র

থানায় প্রবেশ করে পুলিশের ওপর হামলা ও লকআপে আটক ব্যক্তিকে জোর করে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, যা নিয়ে ক্যানিংয়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি অরিত্র বসুর দিকে। এ ঘটনায় রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র সমালোচনা করে সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন এবং থানার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের জন্য ডিজির কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার ক্যানিং থানার রায়বাঘিনীর মোড়ে টহলরত পুলিশ এক ব্যক্তিকে চাঁদা তোলার অভিযোগে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর অভিযোগ ওঠে যে জয়ন্ত ঘোড়ই নামে এক তৃণমূল নেতা এলাকার বেশ কিছু মানুষ নিয়ে থানায় প্রবেশ করে পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং আটক ব্যক্তিকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। এসময় তিনি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর আঘাতও করেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ বেশ বেকায়দায় পড়েন, এবং পরে আরও কিছু মানুষ থানায় ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন।

এই ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিংয়ের এসডিপিও রামকুমার মণ্ডল ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে থানায় হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সূত্রের খবর, দুই পুলিশ কর্মকর্তা সৃজন সারথী ও দেবজ্যোতি সরকারকে বারইপুর জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, পুরো ঘটনাটি থানার ভেতরেই ঘটেছে, তাই সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন তিনি।

অন্যদিকে, ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “অরিত্র ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, অথচ তার জ্বর, সে বাড়িতে বিশ্রামে আছে। আমি সারাদিন কলকাতায় ছিলাম এবং এরকম কোনো ঘটনার বিষয়ে অবগত নই। শুভেন্দু অধিকারী কেবল শিরোনামে থাকার জন্য মিথ্যা প্রচার করছেন।”