‘কল্যাণ চৌবে-কে আগে সাসপেন্ড করা উচিৎ এআইএফের!’, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি নেতাকে আক্রমণ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। কিন্তু কেন এমন মন্তব্য তাঁর? প্রসঙ্গত, নৈহাটি উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-কে সমর্থন জানিয়ে বিশেষ ভিডিও-বার্তা দিয়েছেন কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল ক্লাব মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডানের শীর্ষকর্তারা। এক্ষেত্রে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তও ব্যতিক্রমী নন। এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। পাল্টা ফিরহাদের বক্তব্য, ‘এআইএফ-এর প্রেসিডেন্ট নিজে যখন বিজেপির হয়ে লড়াই করেন তখন তাঁদের মনে হয় না ফুটবলকে অবমাননা করা হচ্ছে? ভালো ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে ব্যক্তি বিশেষের প্রশংসায় কোনো রাজনীতি নেই। কল্যাণ চৌবে দাঁড়ালে কোনো সমস্যা নেই, তাহলে তাঁকে আগে সাসপেন্ড করা উচিৎ এআইএফের।’
উল্লেখ্য, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার কেওড়াতলা মহাশ্মশানের কাছে দেশবন্ধু স্মৃতিসৌধে চিত্তরঞ্জন দাসের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মেয়র। এদিন ফিরহাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশীষ কুমার, বরো চেয়ারপার্সন চৈতালী চট্টোপাধ্যায় সহ কলকাতা পৌরসভার অন্যান্য আধিকারিকগণ। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য রাজনীতির একাধিক প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ শানান ফিরহাদ। পাশাপাশি কলকাতার ঘাটে-ঘাটে ছট পুজোর প্রস্তুতি প্রসঙ্গেও বক্তব্য রাখেন তিনি। ‘অর্জুন সিংহ কখন কোন দলে আছেন সেটাই বুঝতে পারিনি’, প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহকে কটাক্ষ ফিরহাদের।
প্রসঙ্গত, নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ ১২ নভেম্বর চার বছরের পুরনো একটি আর্থিক দুর্নীতির মামলায় অর্জুনকে তলব করেছে সিআইডি। এই ঘটনায় পাল্টা বঙ্গ বিজেপির বক্তব্য, ‘এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’। এই প্রসঙ্গেই ফিরহাদের কটাক্ষ বিজেপি নেতাকে। অন্নপূর্ণা যোজনার টাকা পেতে হলে বিজেপিতে যোগদান করতে হবে, এমনই বেফাঁস মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ প্রসঙ্গে মেয়রের বক্তব্য, ‘প্রশাসনকে রাজনৈতিক মেরুকরণ করার শীর্ষে বিজেপি।
আমরা তো কখনো বলি না, লক্ষীর ভান্ডার পেতে হলে তৃণমূল করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের মনোভাবাপন্ন লোকজনই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান। এমন মন্তব্য দেশের অবমাননা, তিনি অন্যায় করেছেন।’ চলতি সপ্তাহেই ছট পুজো। এ নিয়ে দীপাবলির সূচনাতেই বৈঠক করেছিলেন মেয়র। বর্তমানে গঙ্গা ঘাটগুলিতে প্রস্তুতি কতদূর? এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ জানান, ‘কলকাতা পুরসভার ২৮টি ঘাট এবং ৫০-এর অধিক জলাশয়ের প্রত্যেকটিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেঙ্গল লাইনে কৃত্রিম জলাশয় করা হয়েছে। অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থা সহ পর্যাপ্ত বাথরুম এবং চেঞ্জিং রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বন্ধ থাকছে রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবর।’