রয়্যালবেঙ্গল ‘আতঙ্ক’ কুলতলিতে। দেখা গিয়েছে পায়ের ছাপ। শোনা গিয়েছে গর্জন। বনদপ্তর জানিয়েছে, বাঘকে জঙ্গলে ফেরাতে, জাল দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। মৈপীঠের বৈকন্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীকান্ত পল্লী ও কিশোরীমোহনপুর এলাকায় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে সোমবার সকালে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। তা দেখে বাঘের অনুসন্ধান শুরু করলে শোনা গিয়েছে বাঘের গর্জন। এরপরেই জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়া রয়্যালবেঙ্গলকে জঙ্গলে ফেরাতে তৎপর বনদপ্তর।
বৈকন্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শঙ্কর দাস বলেন, “শ্রীকান্তপল্লী সংলগ্ন দ্বীপের জঙ্গল আছে। সেখান থেকে প্রায়ই বাঘ বেরিয়ে আসে। সকালে স্থানীয় এক মৎস্যজীবী নদীর পাড়ে প্রথম বাঘের পায়ের ছাপ দেখেন।” তিনি আরও জানিয়েছেন মৃত একটি গবাদি পশুকে নদীর পাড়ে ফেলা হয়েছিল। সম্ভবত সেই গন্ধেই বাঘ গ্রামে ঢুকেছে। খবর পেয়ে বাঘের সন্ধান শুরু করার পর কয়েকজন বনকর্মী ও গ্রামবাসী বাঘের গর্জন শুনতে পান বলে জানা গিয়েছে।
বনদপ্তর ইতিমধ্যেই বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করার তোড়জোর শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) নিশা গোস্বামী বলেছেন, “সোমবার সকালে আমরা জানতে পারি জঙ্গল ছেড়ে বাঘ গ্রামে ঢুকেছে। বাঘের খবর পেয়ে বনকর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় জাল দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলেছেন।” তিনি আরও জানিয়েছেন, রায়দিঘির রেঞ্জ অফিসার সহ বনকর্মীরা এলাকায় নজরদারির জন্য পৌঁছে গিয়েছেন। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সংস্থা ‘ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া’ (ডব্লিউটিআই)-র সুন্দরবন বিভাগের ফিল্ড অফিসার সম্রাট পাল বলেন,” সম্ভবত আজমলমারির জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে গ্রামে ঢুকেছে।” মাতলা নদী সংযোগ রক্ষাকারী ওরিয়ন খাঁড়ি পেরিয়ে বাঘটি কিশোরীমোহনপুরে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।