অবশেষে কসবাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আদিল হোসেনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশ। দুবাই থেকে ফিরতেই কলকাতা বিমানবন্দরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলা হয়। কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের ষড়যন্ত্র করে দুবাই পালিয়ে যায় সে। এরপর গত নভেম্বর মাসে তাদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে। যদিও আততায়ীদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। কপালজোরে বেঁচে যান কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। কলকাতা পুলিশ সিট গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
উল্লেখ্য, সুশান্ত ঘোষ ১০৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাঁকে খুনের চেষ্টা করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। ঘটনার সময় তিনি নিজের বাড়ির সামনে বসেছিলেন। কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বন্দুকের ট্রিগার লক হয়ে যাওয়ায় গুলি বের হয়নি।
এদিকে কাউন্সিলরের সাঙ্গপাঙ্গরা এক অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ধৃতকে জেরা করতেই উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ এই ঘটনার পিছনে যুক্ত থাকা অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে ফেলে। এই ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের জেরা করে উঠে আসে আদিল হোসেনের নাম। বিহারের বাসিন্দা এই যুবক কসবাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। ঘটনার আগেই আদিল ছক সাজিয়ে রেখে আবু ধাবি উড়ে যায়। এদিকে পুলিশ ওৎ পেতে বসে থাকে। রবিবার সে কলকাতা বিমানবন্দরে নামছে খবর পেয়েই আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়। সেই মতো গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। আদিলের সূত্র ধরেই কসবা কাণ্ডের রহস্যভেদ করা যাবে বলে মনে করছে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।