আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। শনিবার দুপুরে স্থানীয় এবং রাজ্য কংগ্রেসের কয়েকজনকে নিয়ে অবস্থানরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সহমর্মিতা দেখাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হাসপাতালের গেটের বাইরে থেকেই ফিরে আসতে হয় তাঁকে। অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে হাসপাতালের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেয়নি।একইভাবে, হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদেরও একাংশ এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে কোনও রাজনীতিবিদের উপস্থিতিতে আপত্তি জানিয়েছে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের গেটের মুখ থেকেই ফিরতে হয় অধীর চৌধুরীকে।
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে যাওয়ার আগে নিহত চিকিৎসক তরুণীর পানিহাটির বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গে প্রায় ৫০ মিনিট কথা বলেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘আমি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে আসিনি। এসেছি সাধারণ নাগরিক হিসেবে। এর আগে ১৪ তারিখে এসেছিলাম। কিন্তু ভালো করে কথা হয়নি। এখানে একটা আবেগের ব্যাপার আছে। তাঁদের তো তেমন দাবি নেই। তাঁরা শুধু চান, একমাত্র মেয়ের এমন মর্মান্তিক পরিণতির জন্য যারা দায়ী, তাদের কঠোরতম শাস্তি হোক।’
এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে শনিবার দুপুরে সরাসরি আরজি করে পৌঁছন তিনি। সেখানে গিয়ে পুলিশের বাধা পেয়ে হাসপাতালে গেটের বাইরে থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। হাসপাতালের বাইরে থেকেই তিনি বলেন, ‘আমি এসেছিলাম এখানে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আসিনি। এসেছিলাম ওদের সহমর্মী হয়ে। এটা জানাতে যে আমি ওদের আন্দোলনের পাশে আছি।’
রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলায় একটা কথা আছে না, বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। সব ঘটনা ঘটে গেল। ঘরের মেয়েটার অকালে প্রাণ গেল। আর এখন এত পুলিশ, এত ব্যারিকেড। এই কাজগুলি আগে হলে অপরাধের ঘটনা ঘটত না।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, নির্যাতিতার বাবা মা কে গৃহবন্দী করে রেখেছে পুলিশ। এমনকি পুলিশের তরফে তাঁদের টাকা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।