• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অভীক ‘ভয় দেখাতেন’, বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের জুনিয়র ডাক্তারদের

অভীক, বিরূপাক্ষরা আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাঁদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার, দাদাগিরি করে ক্যান্টিন দখলের অভিযোগ উঠেছে।

আরও বিপদে পড়লো অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। আরজি করের ঘটনার পর আতশকাচের তলায় ছিলেন এই দুই চিকিৎসক। এরই মধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে সামনে এল আরও কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ। উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে অভীক ও তাঁর সতীর্থরা অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ইস্যু করত বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে সিবিআইয়ের কাছে মেল করে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। অপরদিকে চিকিৎসক অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং রঞ্জিত সাহার বিরুদ্ধে বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের বিরুদ্ধে উঠেছে ভয় দেখানোর অভিযোগ।

রবিবার অঞ্জন মণ্ডল সহ আরও কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার বউবাজার থানায় অভীকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, অভীকদের ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতেন তাঁরা। পাশাপাশি অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেট ইস্যু করার অভিযোগ জানাতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের দাবি, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক সিবিআই। এনিয়ে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘উৎসশ্রী প্রকল্পে মেডিকেল গ্রাউন্ডে যাঁরা ট্রান্সফার নিয়েছেন তাঁদের কাছ থেকে এই তৃণমূল কংগ্রেসের অভীক দে-র সিন্ডিকেট চার লক্ষ টাকা করে নিয়েছে। বাড়ির কাছে স্কুলে ট্রান্সফারের চেষ্টা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পোস্ট না থাকলে পোস্ট তৈরি করে তাঁদের বদলি করা হয়েছে। তিনটি স্কুলের মধ্যে একটি পছন্দ করলে তিন লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে নিয়োগ, ২০২০-২১ সালে ট্রান্সফারের ক্ষেত্রেও অনেককেই বলতে শুনেছি ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছি আর ২ লক্ষ টাকা দিয়ে ট্রান্সফার নিয়েছি।’

উল্লেখ্য, অভীক, বিরূপাক্ষরা আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাঁদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার, দাদাগিরি করে ক্যান্টিন দখলের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ৯ আগস্ট আরজি করে চিকিৎসক তরুণীর দেহ উদ্ধারের দিন ভিড়ে ঠাসা সেমিনার রুমের ভিডিওতেও অভীক ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে আরজি করের ঘটনার আবহেই একটি অডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। ওই অডিওতে একজনকে হুমকি দিতে শোনা গিয়েছিল। সেই কণ্ঠস্বরটি বিরূপাক্ষের বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও অভীকদের বিরুদ্ধে রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে জেলা স্তরের হাসপাতালগুলিতে সিন্ডিকেট পরিচালনা করার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই অভীক ও বিরূপাক্ষকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।